বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম নগর বিএনপি সভাপতি ,সাবেক মন্ত্রী জনাব আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রহসনের নির্বাচনের পর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকা ছাড়া আওয়ামী লীগের সামনে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই। জনসম্পৃক্ততা না থাকায় আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে, এই অত্যাচার নির্যাতনের ভারেই তাদের পতন ঘটবে।
বর্তমান সরকার ও সংসদকে অবৈধ আর মন্ত্রী এমপিদের সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আগের চেয়ে আরও জোরালো ও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় আপসহীন ভূমিকার জন্য মাহমুদুর রহমান শুধু বাংলাদেশ নয়, এতদঞ্চলের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন। তিনি একদিকে শাসক গোষ্ঠীর নিপীড়নের শিকার অন্যদিকে অনেক সাংবাদিকের ঈর্ষারও শিকার হয়েছেন ।
গণতন্ত্র হত্যা, ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং নির্ভীক কলম যোদ্ধা মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (অ্যাব) চিটাগং চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অ্যাব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কেএম সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মোহাম্মদ জানে আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, নগর বিএনপি সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, মহিলা দল সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, দৈনিক আমার দেশ চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনওয়াজ।
আমির খসরু তার বক্তব্যে বলেন, প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছিলো তা সঠিক ছিল। কেননা শুধু আওয়ামী লীগ বা হাসিনা নয়, বরং একটি বিরাট শক্তি আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। এ ধরনের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে আর আওয়ামী লীগ আস্থা হারিয়েছে। তারা আর কোনোদিন দেশের মানুষের কাছে ফিরে যেতে পারবে না। নতুন জেনারেশন যারা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদি ও বাকশালী চরিত্র জানতো না, তারা দেখেছে এই দলটি কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্যাতন নিপীড়নের সব সীমা অতিক্রম করেছে, যে কোন সময় দেশে জনবিস্ফোরণের মাধ্যমে তাদের পতন ঘটবে।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় মাহমুদুর রহমানের মতো সুশিক্ষিত মানুষ আর নেই। তার লেখনী শক্তি ও গুণাবলী এতো বেশি বিস্তৃত যে, তিনি যে কোনো বিষয় নিয়েই অনর্গল লিখে যেতে পারেন, যা অন্য অনেক সম্পাদক পারেন না। এ কারণে তিনি অনেক সাংবাদিকেরও ঈর্ষার শিকার।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের মুখেও একজন ব্যক্তি তার সততা আর সাহস নিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কতোটা দৃঢ় অবস্থানে থাকতে পারেন। তাই তিনি এই অঞ্চলের ইতিহাসের এক উজ্জল চরিত্র হয়ে থাকবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে জঙ্গিবাদের জন্মদাতা। তারা এখন গুম খুন আর নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে নব্য বাকশাল কায়েম করেছে। আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু সত্য কথা বলার জন্য নির্ভীক কলম সৈনিক মাহমুদুর রহমানকে জেলে যেতে হয়েছে। আমরা হাসিনা সরকারের কাছে তার জামিন চাই না। কারণ, ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে গিয়েই তিনি জেলে গেছেন। ফ্যাসিবাদী সরকার তাকে মুক্তি দিবে এমন আশাও আমরা করি না। দেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে মাহমুদুর রহমান আবার ফিরে আসবেন।
প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ বলেন, নািস জামানায় হিটলার বলতেন এক নেতা এক দেশ, আর একইভাবে আমাদের দেশে ’৭২ সালের দিকে বলা হতো এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত জানে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে তারা তাদের কায়েমি স্বার্থরক্ষা করতে পারবে না। তাই গণতন্ত্র ধ্বংস করে তারা এই দলকে ক্ষমতায় রাখতে চায়।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা দল নেত্রী জেলী চৌধুরী, প্রকৌশলী অছিউর রহমান, লায়ন ফজলুল হক, বিএনপি নেতা আবদুল আজিজ, এফএম সাইফুল আলম প্রমুখ।
বর্তমান সরকার ও সংসদকে অবৈধ আর মন্ত্রী এমপিদের সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আগের চেয়ে আরও জোরালো ও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় আপসহীন ভূমিকার জন্য মাহমুদুর রহমান শুধু বাংলাদেশ নয়, এতদঞ্চলের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন। তিনি একদিকে শাসক গোষ্ঠীর নিপীড়নের শিকার অন্যদিকে অনেক সাংবাদিকের ঈর্ষারও শিকার হয়েছেন ।
গণতন্ত্র হত্যা, ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং নির্ভীক কলম যোদ্ধা মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (অ্যাব) চিটাগং চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অ্যাব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কেএম সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মোহাম্মদ জানে আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, নগর বিএনপি সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, মহিলা দল সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, দৈনিক আমার দেশ চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনওয়াজ।
আমির খসরু তার বক্তব্যে বলেন, প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছিলো তা সঠিক ছিল। কেননা শুধু আওয়ামী লীগ বা হাসিনা নয়, বরং একটি বিরাট শক্তি আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। এ ধরনের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে আর আওয়ামী লীগ আস্থা হারিয়েছে। তারা আর কোনোদিন দেশের মানুষের কাছে ফিরে যেতে পারবে না। নতুন জেনারেশন যারা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদি ও বাকশালী চরিত্র জানতো না, তারা দেখেছে এই দলটি কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্যাতন নিপীড়নের সব সীমা অতিক্রম করেছে, যে কোন সময় দেশে জনবিস্ফোরণের মাধ্যমে তাদের পতন ঘটবে।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় মাহমুদুর রহমানের মতো সুশিক্ষিত মানুষ আর নেই। তার লেখনী শক্তি ও গুণাবলী এতো বেশি বিস্তৃত যে, তিনি যে কোনো বিষয় নিয়েই অনর্গল লিখে যেতে পারেন, যা অন্য অনেক সম্পাদক পারেন না। এ কারণে তিনি অনেক সাংবাদিকেরও ঈর্ষার শিকার।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের মুখেও একজন ব্যক্তি তার সততা আর সাহস নিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কতোটা দৃঢ় অবস্থানে থাকতে পারেন। তাই তিনি এই অঞ্চলের ইতিহাসের এক উজ্জল চরিত্র হয়ে থাকবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে জঙ্গিবাদের জন্মদাতা। তারা এখন গুম খুন আর নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে নব্য বাকশাল কায়েম করেছে। আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু সত্য কথা বলার জন্য নির্ভীক কলম সৈনিক মাহমুদুর রহমানকে জেলে যেতে হয়েছে। আমরা হাসিনা সরকারের কাছে তার জামিন চাই না। কারণ, ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে গিয়েই তিনি জেলে গেছেন। ফ্যাসিবাদী সরকার তাকে মুক্তি দিবে এমন আশাও আমরা করি না। দেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে মাহমুদুর রহমান আবার ফিরে আসবেন।
প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ বলেন, নািস জামানায় হিটলার বলতেন এক নেতা এক দেশ, আর একইভাবে আমাদের দেশে ’৭২ সালের দিকে বলা হতো এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত জানে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে তারা তাদের কায়েমি স্বার্থরক্ষা করতে পারবে না। তাই গণতন্ত্র ধ্বংস করে তারা এই দলকে ক্ষমতায় রাখতে চায়।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা দল নেত্রী জেলী চৌধুরী, প্রকৌশলী অছিউর রহমান, লায়ন ফজলুল হক, বিএনপি নেতা আবদুল আজিজ, এফএম সাইফুল আলম প্রমুখ।