DMCA.com Protection Status
title="৭

গভীর সংকটে ইউক্রেনঃক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট ও বিমানবন্দর রুশপন্থিদের দখলে  সীমান্তে দেড় লাখ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ পুটিনের

image_112402ইউপন্থিদের আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পতনের পরও ইউক্রেনের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটছে না। গতকাল শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার রুশপন্থি সশস্ত্র গ্রুপ ইউক্রেনের ক্রিমিয়ার রাজধানী সিমফেরোপোলের বিমানবন্দর এবং পার্লামেন্টসহ কয়েকটি সরকারি ভবন দখল করে নেয়। এরকম পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ওলেক্সান্দের তুর্কিনোভ রাশিয়ার 'আগ্রাসনের' বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।





সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, শুক্রবার সকালে ৫০ জনের একটি দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিমফেরোপোলের বিমানবন্দরটি দখল করে নেয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রুশ জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট ও সরকারি সদর দপ্তরগুলো অস্ত্রধারীরা দখলে নেয়। এরপর তারা ভবনগুলোতে রাশিয়ার পতাকা উত্তোলন করে। এসময় তারা উচ্চকণ্ঠে বলতে থাকেন, কিয়েভ নয়, এখন থেকে নিজেদের সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নিতে চান। উল্লেখ্য, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন গত বুধবার ইউক্রেন সীমান্তের কাছে দেড়লাখ সেনা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়ার একদিন পরই ক্রিমিয়ায় পার্লামেন্ট ভবন দখলের ঘটনা ঘটল। এ ঘটনার পর ক্রিমিয়ায় কোনোরকম 'সামরিক আগ্রাসন' চালানোর বিরুদ্ধে রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করেছেন ইউক্রেনের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ওলেক্সান্দের তুর্কিনোভ। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রুশ নৌঘাঁটি 'রাশিয়ান ব্ল্যাক সি ফ্লিট'-এর সেনাদেরকে বাইরে বেরিয়ে না আসার ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন তিনি। কৃষ্ণ সাগরের রুশ নৌঘাঁটির উদ্দেশে তুর্কিনোভ বলেন, ঘাঁটিটির সীমানার বাইরে যে কোনো সামরিক তত্পরতা, অস্ত্রের ঝনঝনানিকে সামরিক আগ্রাসন হিসাবেই দেখবে ইউক্রেন।





ক্রিমিয়া অঞ্চলটি একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। ১৯৫৪ সালে এটি ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় রুশ জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত ক্রিমিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে নানা টানাপোড়েন অব্যাহত থাকে। প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচকে উত্খাতের পরও সেখানে রুশ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইইউপন্থি তাতারদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই প্রেক্ষিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বরদাশত করা হবে না। এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মস্কো কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ করবে না বলে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ টেলিফোনে তাকে নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে কেরি বলেন,' আমরা মনে করি সবারই এখন যে কোনো ধরনের উস্কানি দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত'। এর আগে ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াতসেনিউককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে রাশিয়ায় আশ্রয়গ্রহণকারী ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ শুক্রবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে এখনো ইউক্রেনের বৈধ প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করেছেন।

 

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!