ব্যক্তিগত জীবনে বেশ খানিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নব-উদ্যমে কাজ শুরু করেছেন ছোটপর্দার মিষ্টিমুখ মৌসুমী নাগ। এটাকে তিনি দেখছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অধ্যায় হিসেবে। তাই তো নাটকের পাশাপাশি নতুন করে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন চলচ্চিত্রের জন্য। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন তিনি। বড়পর্দার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন গত ছয় মাসে। শুটিংয়ের শেষপর্যায়ে আছেন প্রথম চলচ্চিত্র ‘রানআউট’-এর। ছোটপর্দার আরেক রোমান্টিক নায়ক সজলের বিপরীতে বড়পর্দায় অভিষেক ঘটছে মৌসুমীর। ‘রানআউট’ নামে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছেন ছোটপর্দার আরেক মেধাবী নির্মাতা তন্ময় তানসেন। জানা যায়, এ পর্যন্ত ৭০ ভাগ শুটিং শেষ হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বাকি অংশের শুটিং শেষ হবে। মৌসুমী জানান, এ পর্যন্ত যেটুকু শুটিং করেছি তাতে আমি অনেক হ্যাপি। আশা করছি দর্শকরা নতুন মৌসুমীকে খুঁজে পাবেন। আমিও সেভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। কারণ ছোটপর্দায় এত দিন দর্শকরা আমাকে যেভাবে দেখেছেন, এখানেও নিশ্চয়ই সেভাবে দেখতে চাইবেন না তারা। তা ছাড়া এটা আমার বড়পর্দায় প্রথম কাজ। ফলে নতুন কিছু না পেলে দর্শক আমাকে গ্রহণ করবে কেন? ‘রানআউট’ নিয়ে দারুণ আশাবাদী মৌসুমী জানান, সব ঠিক থাকলে এ বছরেই দর্শকরা তাকে প্রেক্ষাগৃহে দেখতে পাবেন। ‘রানআউট’-এ মৌসুমী-সজল জুটি ছাড়াও অভিনয় করছেন তারিক আনাম খান, তানভীর হোসেন প্রবাল প্রমুখ। মৌসুমী নাগ বলেন, রানআউটে আমার চরিত্রের নাম জেনি। চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। অপরাধ জগতের কাহিনী নিয়ে পুরো চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট গড়ে উঠেছে। এর বেশি আপাতত বলতে চাই না। তিনি জানান, সমপ্রতি সজলের সঙ্গে বান্দরবানের কুতুবদিয়ায় একটি রোমান্টিক গানের শুটিং হয়েছে। পর্দায় মৌসুমী ঠোঁট মেলাবেন দু’টি গানের সঙ্গে। সব মিলিয়ে ‘রানআউট’ নিয়ে মৌসুমী নাগের অস্থিরতা ক্রমেই বাড়ছে। এ অস্থিরতা নিজেকে নতুন করে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের বড়পর্দার নায়িকা হিসেবে প্রমাণ করার। এদিকে চলতি সময়ে মৌসুমী নাগ মূলত চলচ্চিত্রকেন্দ্রিক ভাবনায় ঘুরপাক খেলেও পাশাপাশি অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘জামাই বন্দী’, নরেশ ভূঁইয়ার ‘লঙ্গরখানা’ এবং ‘শোধ’ নামে একটি ধারাবাহিকে।