বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী শাসকদের সব বর্বর কর্মকাণ্ডের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে তাদের নব্য বাকশালী শাসনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা।’
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকার দেশব্যাপী উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল ছিনিয়ে নিতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দেশকে এক চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
আওয়ামী সরকারের অপকর্ম, নির্লজ্জ দলীয়করণ ও দুর্নীতির বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ এখন নাভিশ্বাস ফেলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনের অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন সরকার দল সমর্থিত প্রার্থী আনিসুজ্জামান, স্থানীয় এমপি মৃনাল কান্তি দাস ও তাদের সমর্থকরা ভোট ডাকাতি, ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটকেন্দ্রে বোমা ও গুলিবর্ষণ, প্রশাসনের নিরব ভূমিকা এবং পূণ:নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আজ শনিবার হরতালের সমর্থনে সর্বস্তরের জনসাধারণ সমবেত হওয়ার শুরুতেই পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করে।’
এতে বিএনপি নেতা আবুল হোসেন মাতাব্বর, মো: সাজু, আক্তার হোসেন, মুন্সীগঞ্জ সদর থানা যুবদল সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন পুস্তি, শ্রমিক দল কর্মী লতিফ, যুবদল কর্মী নুর হোসেন পুস্তি, ফারুক, নাঈম, রাসেল, মাসুদ শেখ, আক্তার হোসেন, ইয়ামিন দেওয়ান, রানা, জনি, জিতু এবং সাবেক ছাত্রনেতা মিল্লাত গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আজ মুন্সীগঞ্জে শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালীন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীসহ নিরীহ মানুষের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনা বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন সরকারের অপকর্ম এবং বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠার গভীর ষড়যন্ত্র থেকে কোনো বিচ্ছিন্ন বা আলাদা ঘটনা নয়।’
অবিলম্বে মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।