গতকাল শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়, বাংলাদেশকে চীন সাবমেরিন দেবে বলে অঙ্গীকার করেছে। এ ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে বলে জানানো হয়।উন্নত বিশ্বের জন্য এটা বিশেষ কোন বিষয় না হলেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য এটাই হবে প্রথম সাবমেরিন । চীন যে সময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সাবমেরিনসহ অস্ত্র পাঠানোর চুক্তি করেছে, ঠিক সে সময়েই প্রকটভাবে সাবমেরিন-সংকটে আছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। পাকিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জেনস উইকলির একটি খবরে বলা হয়, চীন ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের কাছে ছয়টি সাবমেরিন বিক্রি করার চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের কাছেও দুই ধরনের ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন বিক্রি করবে চীন।
নিউ এজ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে জানানো হয়, সাবমেরিন বিক্রির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ২০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের চুক্তি হয়েছে। চীন ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সাবমেরিন হস্তান্তরের অঙ্গীকার করেছে। পাকিস্তানের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, সাবমেরিন বিষয়ে চীনের সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বাংলাদেশের কাছে চীন যে দু’টি সাবমেরিন বিক্রি করবে তা হচ্ছে মিং-ক্লাস টাইপ ০৩৫ জি) সাবমেরিন এবং ১৯৫০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের নির্মিত রোসিও-ক্লাস সাবমেরিনের উন্নত সংস্করণ। টাইপ-০৩৫ জি সাবমেরিন অতি সম্প্রতি চীনের তৈরি ৬টি সাবমেরিনের অন্যতম।
ইসলামাবাদ চীনের কাছ থেকে এস-২০ কিংবা ইউয়ান-ক্লাস ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন (এসএসকে) কিনতে চায়। বর্তমানে পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে ১৯৯০ সালে কেনা ৫টি ফরাসি সাবমেরিন ও ৩টি আগোস্টা ৯০বি (খালিদ ক্লাস) এবং ১৯৭০ দশকের শেষের দিকের দু’টি পুরনো আগোস্টা ৭০ (হাশমত-ক্লাস) রয়েছে। পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপনযোগ্য পারমাণবিক ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পেতে চাচ্ছে। তবে ওয়াশিংটনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার আশংকায় এটি বিক্রিতে অনীহা দেখিয়ে আসছে চীন।
এদিকে ভারতের আরেক প্রতিবেশী মিয়ানমার তার সাবমেরিন ক্রুদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনের বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগাচ্ছে। দেশটি সাবমেরিন রণ-কৌশলে প্রশিক্ষিত করার জন্য তাদের নৌবাহিনীর একটি দলকে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানে পাঠায়। মিয়ানমার তার সাবমেরিন বহরকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে এবং এ ব্যাপারে রাশিয়ার কাছ থেকে আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রত্যাশা করছে। সূত্র : দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।