গত বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখা পুলিশ কর্মকর্তারাই এবার পদক তালিকায় শীর্ষে। বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোটের আন্দোলন দমন, জাময়াত-শিবিরের নাশকতা প্রতিরোধ, হেফজতকর্মীদের ঢাকা থেকে বিতারিতসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকারবিরোধীদের সফলতার সঙ্গে প্রতিরোধের কারণেই তাদের পদক দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১৬ পুলিশ সহস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সাহসীকতা; র্যাব, পুলিশের শীর্ষ ২০ কর্মকর্তাকে বিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসীকতা দেয়া হয়েছে ২৯ পুলিশ-র্যাব সদস্যকে। যাদের অধিকাংশই মাঠ পর্যায়ের।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা দেয়া হয়েছে ৪০ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের। যার মধ্যে রয়েছে বহুল আলোচিত লালবাগ বিভাগ পুলিশের উপ-কমিশনার হারুন আর রশিদ ও তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।
বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সাহসীকতা:
পিওএমের এসআই মো. শাজাহন হেফাজতের সমাবেশের দিন নিহত, এসআই শরিফুল ডাকাত ধরতে গিয়ে নিহত, নায়েক ফিরোজ খান হেফাজতের ঘটনায় নিহত, কনেস্টবল মো. ফেরদৌস খলিল দায়িত্ব পালন অবস্থায় নাশকতাকারীদের বোমায় নিহত, কনস্টেবল জাকারিয়া হেফাজতের ঘটনায় আহত হয়ে মারা যাওয়ায়, রাজশাহীর কনস্টেবল সিদ্ধার্থ চন্দ্র সরকার ২৬ ডিসেম্বর দায়িত্ব পালনের সময় বিএিনপি-জামায়াতের মিছিলে হামলায় নিহত হওয়ায়, চট্টগ্রামের কনস্টেবল আবু তারেক জামায়াত নেতা সাঈদীর ফাঁসির রায় পরবর্তী সহিংসতায় নিহত, কনস্টেবল কাজী জহুরুল হক যশোরের মনিরামপুরে জামায়াত-শিবিরের হামলায় নিহত, ঝিনাইদহের হরিনাকণ্ডের কনস্টেবল জিএম ওমর ফারুক জামায়াতের হামলায় নিহত হওয়ায়, খুলনা জেলার কনেস্টবল মফিজুর রহমান জামায়াতের সহিংসতার ঘটনায় নিহত, কনস্টেবল মোজাহার আলী জায়াতের হামলায় নিহত, কনস্টেবল আজিজুর রহমান জলঢাকায় জামায়াতের হামলায় নিহত হওয়ায়, গাইবান্দা বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল মো. বাবুর মিয়া জামায়াতের হামলায় নিহত হওয়ায়, কনেস্টবল তোজাম্মেল জামায়াতের হামলায় নিহত, কনস্টেবল হজরত আলী জামায়াতের হামলায় নিহত এবং খাজা নাজিম উদ্দিন জামায়াতের হামলায় নিহত হওয়ায় মরোনত্তর পদক পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার নিহতদের পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পদক তোলে দেন।
বিপিএম সেবা:
র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমানকে জঙ্গি নির্মূল, গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার ভেজাল বিরোধী অভিযান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে র্যাবকে নেতৃত্ব দেয়ায় এ পদক দেয়া হয়।
ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহম্মেদকে ৫ মে হেফাজতের কর্মীদের ঢাকা থেকে বিতারিত, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ২০১৩ সালে রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে রাজনৈতিক আন্দোলন প্রতিরোধসহ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল, আধুনিকায়নে ভূমিকা রাখায় বিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়।
হাইওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি আছাদুজ্জামান মিয়াকে হাইওয়ে পুলিশের উন্নয়ন, অবকাঠামো বাড়ানো, হাইওয়ে সড়কে পণ্য পরিবহনে নিরপত্তা দেয়াসহ রাজনৈতিক অস্থিরতায় হাইওয়ে সড়কে পণ্য পরিবহনে অবদান রাখায় বিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডলকে ৫ মে হেফাজতের দিন অপারেশন শাপলার নেতৃত্ব দেয়ায় বিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়। একই ঘটনায় পদক দেয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) শেখ মো. মারুফ হাসান, র্যাবের বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক কনেল জিয়াউল আহসান, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবির) অ্যাডিশনাল জিআইজি মাহবুব হোসেন, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) আনোয়ার হোসেন, মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফুজ্জামানকে।
এছাড়া খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামানকে রাজশাহীতে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা প্রতিরোধে, আন্দোলন দমন; র্যাব-৩ এর অধিনায় অতিরিক্ত ডিআইজি মল্লিক ফকরুল ইসলামকে ৮ মে ২০১৩ থেকে বাইতুল মোকাররম এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখাসহ অপরাধ দমনে সফল্যে; র্যাব ১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি জামিল আহম্মদকে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা প্রতিরোধ, জঙ্গি গ্রেপ্তার, অপরাধ দমন, অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারে সফলতার কারণে; র্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল মো. রিয়াজুর রহমানকে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবে নাশকতা প্রদিরোধে সতর্ক থাকার কারণে; উইং কমান্ডার ও পরিচালক র্যাব সদর দপ্তর (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মোফাজ্জাল হুসাইনকে র্যাবের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় বিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়েছে।
এ পদকের তালিকায় আরো রয়েছেন- ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আনিচুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সেয়দ নুরুল ইসলাম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার ফরিদা ইয়াসমিন, ওয়ারী জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান ও মশিউর রহমান
এদের মধ্যে এডিসি মেহেদী হাসানকে মতিঝিলে দায়িত্ব পালনের সময় জামায়াত-শিবির দমনে, হেফাজতের কর্মীদের নাশকতা প্রতিরোধ, বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৭৯ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে সফলাতা দেখানোর কারণে তাকে দেয়া হয় সেবা পদক। যদিও ২০১৩ সালের ১১ মার্চ মেহেদী হাসান বিএনপির অফিস মূল গেট ও ভেতরে অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে নেতাকর্মীদের মারপিট করে তাদের টেনে-হেঁচড়ে আটকের ঘটনায় তীব্র সমালোচনায় পড়েন। পদক প্রাপ্তির আমলানায় দেখানো হয় জামায়াত-শিবির প্রতিহত করতে গিয়ে তিনি মারাত্মক আহত হন।
সৈয়দ নুরুল ইসলামকে হেফাজতের সমাবেশের দিন সাইনবোর্ড এলাকা তেকে হেফজাত কর্মীদের বিতারিত করাসহ নারায়ণগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা উন্নতি ও হত্যা মামলার ক্লু উদঘাটনে সফতলার কারণে; এডিসি মশিউর রহমানকে ব্লগার রাজিব হায়দার হত্যার ক্লু উদঘাটনসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার ক্লু উদঘাটন ও খুনীদের গ্রেপ্তারের সফলাতার কারণে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (সেবা) দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সাহসিকতা:
মতিঝিল জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমানকে ৪ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে গিয়ে আহত হওয়া, ১ ডিসেম্বর কালবোর্ড রোড থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার এবং জামায়াত-শিবিরের সহিংসতা দমনে অবাদন রাখায় পিপিএম সাহসিকতার পদক দেয়া হয়েছে।
একই কারণে এ পদক দেয়া হয়েছে শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম, হাজারীবাগ থানার ওসি (নিরস্ত্র) কাজী মাইনুল ইসলাম, সাতকানিয়া খানার ওসি শেখ মো. নেয়ামত উল্লাহ, ফুলতলা থানার ওসি (নিরস্ত্র) মো. মামুর আর রশিদ, রমনা থানার এসআই বর্তমানে ধানমণ্ডিতে খান মোহাম্মদ জোবায়ের, রাজশাহীর পিএসআই মকবুল (আহত), এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম, এসআই মো. শামসুল মান্নান (আহত), চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন ভূইয়া, এএসআই মো. আব্দুর রহমান, এএসআই মো. আব্দুল হালিশ, এএসআই মো. আজিবর রহমান, এএসআই মো. আজম মাহমুদ, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার এএসআই মো. জাবেদ আলী, খুলনার পুলিশ ল্যান্স নায়েক কেরামত আলী, বাংলামটরের ঘটনায় আহত কনস্টেবল ফাইজুল, কনেস্টবল পিয়ারুল, কনস্টেবল হামিদুর রহমান, কনস্টেবল আনন্দ কুমার, কনেস্টবল তৌহিদুর রহমান, কনেস্টবল বাকির হোসেনকে। এদের অধিকাংশ বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনায় আহতও হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা:
পিপিএম সেবা পদক পেয়ে আলোচনায় আসেন লালবাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ ও তেজগাঁও বিভাগ পুলিশের উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, রমান বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শিবলী নোমান।
এর মধ্যে ডিসি হারুন অর রিশদকে হেফাজতের সমাবেশের দিন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে হেফাজত কর্মীদের নিশ্চুপভাবে সমাবেশে পাঠানো, লালবাগ এলাকায় সহিংসতা প্রতিহত, নিজ খরচে বিমানযোগে হেফাজতের আমীর আল্লামা শফিকে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেয়া, হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, পিলখানা বিদ্রোহের বিচারের দিন, কাদের মোল্লার ফাঁসির দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় পিপিএম সেবা পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমারা সরকারকে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় জামায়াত-শিবিরের নাশকতা প্রতিরোধ, বোমা উদ্ধার ও নাশকতাকারী (জামায়াত-শিবির) গ্রেপ্তার, ৫ মে হেফাজতের সহিংসতার দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক দেয়া হয়েছে। একই কারণে পদক দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামানকেও।
এছাড়া এসি শিবলী নোমানকে ৫ মে হেফাজতের সহিংসতার দিন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখা, জামায়াত-শিবিরের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার, শিশুপার্কের সামনে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় ২ আসামিকে গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় দায়িত্ব পালন করায় তাকে পদক দেয়া হয়।
পিপিএম সেবায় র্যাব ৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফরিদুল আলমকে সুন্দরবনে জলদস্যু ও বনদস্যু বাহিনীকে নির্মূল; র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাইদ মোহাম্মদকে লক্ষ্মীপুরের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী বাবুল বাহিনীর বাবুলসহ সহযোগিদের নির্মূল; র্যাব ১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কিসমৎ হায়াৎকে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে জীবন বাজি রেখে বন্দুকযুদ্ধ চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধর (পরে সন্ত্রাসীদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার); রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হককে ৫ মে ঢকায় রওনা দেয়ার সময় হেফাজত কর্মীদের ঠেকিয়ে দেয়া; সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফরেনসিক) শেখ মো. রেজাউল হায়দারকে অপরাধ ও অপরাধীদের সনাক্ত করতে পুলিশ বিভাগে ডিএনএ ল্যাব প্রতিষ্ঠা ও জনবল নিয়োগসহ ফরেনসিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায়; ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানকে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই প্রতিরোধ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে অবদান রাখায়; উপ-পুলিশ কমিশনার শামীমা বেগমকে ভিকটিম সার্পোট সেন্টারের মাধ্যমে অহসায় ও নির্যাতিত নারী শিশুদের উদ্ধার, তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করাসহ অসহায় ব্যক্তিদের আইনী সহয়তায় অবদান রাখায়; উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদর রহমানকে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগকে গতিশীল করায়; মাগুরার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার ও ডাকাতির মাল উদ্ধার করায়; র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিচালক মেজর মো. মেহেদী হাসানকে রানা প্লাজায় আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার, ঘটনার মূল নায়ক সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারে অবদান রাখায়; র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আজাদুর রহমানকে জঙ্গিদের তৎপরতা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তাদরে নাশতকা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখা, উপ-পরিচালক (গোয়েন্দা) মেজর মোহাম্মদ মাহফুজ উল আমির নুরকে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্রেকে গ্রেপ্তার করায় পিপিএম সেবা পদক দেয়া হয়েছে।