অবশেষে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী ‘নিখোঁজ’ বিমানের অবস্থান জানা গেছে। বিমানটি শনিবার ভিয়েতনামের থো চু দ্বীপের উপকূল থেকে ১৫৩ কিলোমিটার গভীর সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দেশটির সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানটির খোঁজে ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মধ্যবর্তী সাগরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে শনিবার দিবাগত রাত দুইটা ৪০ মিনিট থেকে ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ নিখোঁজ হয়েছিল। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় ফ্লাইটটির বেইজিংয়ে অবতরণের কথা ছিল।
ভিয়েতনামের নৌবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা থুই তেরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নৌবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উদ্ধারকাজের জন্য তারা পাশের ফু কুচ দ্বীপ থেকে নৌকা চেয়ে পাঠিয়েছে। থো চু এবং ফু কুচ দ্বীপ দুটি ভিয়েতনামের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।
তবে ভিয়েতনামের নৌবাহিনী কীভাবে এবং কখন বিধ্বস্ত বিমানটির খোঁজ পেয়েছে তা জানা যায়নি। মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর কোটা বারুর ১২০ নটিক্যাল মাইল দূর থেকে বিমানটি শেষবারের মতো কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
এর আগে শনিবার সকালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানায়, এমএইচ৩৭০ ফ্লাইটটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে শুক্রবার রাত ১২টা ৪০মিনিটে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। এদের মধ্যে দুই শিশুসহ ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিলেন। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এর বেইজিং পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু কুয়ালালামপুর থেকে রওনা হওয়ার দু ঘণ্টা পর এটি নিখোঁজ হয়ে যায়।
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, বিমানটি চীন নিয়ন্ত্রিত আকাশে পৌঁছানোর আগেই ভিয়েতনামের আকাশসীমা থেকে হারিয়ে যায়। আর চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, বিমানটিতে ১৬০ জন চীনের নাগরিক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানটিতে কোন বাংলাদেশী ছিলো না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।