আবারো সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংকে টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। এবার দুর্বৃত্তরা বগুড়ার আদমদীঘি শাখা থেকে সাড়ে ৩২ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। ব্যাংকের স্ট্রং রুমের পশ্চিমপাশের দেয়ালের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ব্যাংকের দুই প্রহরীসহ ৪জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোনালী ব্যাংক আদমদীঘি শাখার ব্যবস্থাপক সামছুদ্দীন শরীফ জানান, গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ব্যাংকের হিসাব সমন্বয় করতে স্ট্রং রুম খুললে টাকা লুটের বিষয়টি চোখে পড়ে। সাথে সাথেই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে জানানো হয়। তিনি জানান, ব্যাংকের পশ্চিমপাশে অবস্থিত স্ট্রং রুমের বাইরের দেয়ালের নিচ দিয়ে দুর্বৃত্তরা সুড়ঙ্গ তৈরি করে ভেতরে ঢোকে। এরপর ভল্ট কেটে সাড়ে ৩২ লাখ টাকা নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ব্যাংকিং শেষে নগদ ৩২ লাখ ৫১ হাজার টাকা সিন্দুকে রাখা ছিলো। সেই টাকাগুলোই লুট হয়েছে। তবে ম্যাজিস্ট্রেট ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি দেখার পর লুট হওয়া টাকার পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে।
সোনালী ব্যাংকের ওই শাখার পশ্চিম পাশে অবস্থিত 'বিপ্লব ফার্নিচার মার্ট' নামে একটি আসবাবপত্রের দোকান। সেখান থেকে ব্যাংকের দেয়ালের নিচে দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে দুর্বৃত্তরা স্ট্রং রুমে প্রবেশ করে। তারপর তারা ভল্ট কেটে টাকা নিয়ে যায়।
আদমদীঘি থানা পুলিশ বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার, একটি রেঞ্জ ও একটি কর্নি উদ্ধার করেছে ।
আটককৃতরা হলেন, আনসার সদস্য পঞ্চগড়ের আটোয়ারি উপজেলার নিতুপাড়া গ্রামের গোপাল দেবের পুত্র পূর্ণদেব (২৭), ঝিনাইদহের যাদবপুরের সিরাজুল ইসলামের পুত্র মিলন মিয়া (২৬) এবং আসবাবপত্র দোকানের মালিক আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার কাশিমিলা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র আশরাফুল ইসলাম (৪০) ও একই দোকানের কর্মচারি ঘোর পুকুরিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের পুত্র শাহীনূর ইসলাম (২৫)।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম ব্যাংকে দুঃসাহসিক এই লুটের ঘটনায় ৪ জনকে আটকের কথা স্বীকার করে জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুরো বিষয়টির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনি আর কিছু বলতে চান না বলে জানান। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সায়েম এবং সোনালী ব্যাংকের জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।