মুকতেশ ব্যানার্জি তার ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন, বেইজিংয়ে এখনো অভ্যন্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। মার্চের শুরুর দিকে ভিয়েতনামের স্ত্রী জিয়াওমো বাই ও সন্তানদের নিয়ে অবকাশ কাটিয়েছেন। তার একটা ছবিও ফেসবুকে দেওয়া আছে। কিন্তু বাস্তবে তারা নেই। কারণ তারা মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানে যাত্রী হয়ে উঠেছিলেন। বিমানটি যেমন রহস্যের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে তেমনি তাদের জীবনটাও রহস্যই রয়ে গেল! খবর বিডিনিউজের।
৪২ বছর বয়সী মুকতেশ এবং ৩৭ বছরের জিয়াওমো দুজনেই কানাডীয় নাগরিক। তাদের ছোট্ট দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু কোথায় কিভাবে তারা আছে তাও জানেনা কেউ। সন্তান দুটি তাদের সঙ্গে ছিল না। হয়তো তারা মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছে। কিন্তু চিরতের হারিয়েছে এই পৃথিবীতে তাদের সবচেয়ে আপনজনকে। নিখোঁজ হওয়া ফ্লাইটটির ২২৭ যাত্রীর তালিকায় তাদেরও নাম ছিল। নাম দুটি কুয়ালালামপুরের কানাডীয় হাইকমিশনের কাছে পাঠানো হলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। ফেসবুকের ছবিতেই বোধ হয় জীবনের শেষ দৃশ্যমান চিত্রটা স্থির হয়ে গেল তাদেও জীবনটা।
মুকতেশ আর তার স্ত্রী জিয়াওমো কানাডার নাগরিক হলেও তাদের বসবাস ছিলো বেইজিংয়ে। ২০১২ সালের মে মাসে চীনের এক্সকোল এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন মুকতেশ। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট মুকতেশ নয় বছর কানাডার মন্ট্রিয়লের বাস করেছেন। ২০০২ সালে অফিস ট্যুরে বেইজিং গিয়ে পরিচয় হয় জিয়াওমোর সঙ্গে। ওই বছরই তারা বিয়ে করেন। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে চাকরি নিয়ে সস্ত্রীক চলে যান শিকাগোতে। এর পর নতুন দায়িত্ব নিয়ে বেইজিং আসেন। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মুকতেশের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।