ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাস তিন আগে সম্ভাব্য প্রার্থীরা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে সরব, ঠিক তখনই একটি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। কলকাতার প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা সুনীল গুপ্ত লোকসভা নির্বাচনের নিয়ম-কানুন ও আচরণবিধি সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে একটি আলোচনা সভায় জানান, এখন হলফনামায় সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টের কথাও উল্লেখ করতে হবে প্রার্থীদের। তিনি বলেন, লোকসভা ভোটে প্রার্থীদের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টের কথা হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে।
সে জন্য হলফনামার ফর্মে একটি অতিরিক্ত কলাম যোগ করা হচ্ছে।তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে রাজনৈতিক প্রচারেও। বিভিন্ন দলের বক্তৃতা-বিবৃতি প্রকাশে ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নেয়া সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কড়া বিবৃতি দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যা তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দেয়ালে পোস্ট করেছেন। তবে আইন না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। তবে নূ্যনতম নজরদারি যেন নিশ্চিত করা যায় সে জন্য হলফনামায় সোশ্যাল মিডিয়া এবং মোবাইল অ্যাপ-সংক্রান্ত অ্যাকাউন্টের কথা জানানোর বাধ্যবাধকতা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রার্থীকে তার মোবাইল নাম্বার ও ই-মেইল আইডিও দিতে বলা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ বা দল প্রচার চালালে তার আগাম অনুমোদন নিতে হবে কমিশনের মিডিয়া মনিটরিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন কমিটির কাছ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচনী প্রচারের খরচও প্রার্থীর ভোট-খরচ হিসাবে ধরা হবে।