আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে বিশেষ চিকিৎসা করতে হবে।’
মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ১৯ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সম্প্রতি এক বক্তব্যের জবাবে একথা বলেন তিনি।
সেলিম বলেন, ‘এর আগেও খালেদা জিয়া গোপালগঞ্জ নিয়ে কটূক্তি করেছেন। মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে তিনি এক মহিলা পুলিশকে বলেছিলেন, তুমি গোপালী না। গোপালগঞ্জের নাম মুছে ফেলা হবে। খালেদা জিয়া উন্মাদ হয়ে গেছে। তার বিশেষ চিকিৎসা করানো দরকার। তাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। তার আশেপাশে যারা আছে তারা হয় হাফ না হয় ফুল উন্মাদ।’
গোপালগঞ্জের জন্যই খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন উল্লেখ করে সেলিম আরো বলেন, ‘কারণ এই গোপালগঞ্জের সন্তান বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের পর জিয়াউর রহমানকে বলেছিলেন খালেদা জিয়া ঘরে তোলার জন্য। যদি বঙ্গবন্ধু এই কাজটি না করতেন তাহলে আজ খালেদা জিয়ার অবস্থান হতো ফুটপথে। তাকে প্রধানমন্ত্রী হতে হতো না।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলছেন তারা নাকি ট্রেন মিস করেননি। ট্রেন নাকি বন্ধ হয়ে আছে। আমরা তো দেখছি ট্রেন ঠিকই চলছে। ফুল এসি হয়ে ট্রেন চলছে। আর খালেদা জিয়া ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। তিনি তো ট্রেনে আগুন দিতে জানেন। ট্রেনে তিনি কিভাবে উঠবেন।’
খালেদা জিয়াকে তার উক্তি প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগে এই নেতা বলেন, ‘গোপালগঞ্জ নিয়ে কটূক্তির করার উপযুক্ত শিক্ষা তাকে দিবে সময়মত বাংলার মানুষ। এর জন্য খালেদা জিয়াকে ক্ষমা চাইতে হবে জাতির কাছে।’
পাকিস্তানি প্রেমে যারা হাবুডুবু খায় তারা কখনো গোপালগঞ্জকে সহ্য করতে পারে না বলেও মন্তব্য করে সেলিম বলেন, ‘পাকিস্তান যেমন গোপালগঞ্জকে পছন্দ করতে পারতো না, তেমনি পাকিস্তানি প্রেমী খালেদা জিয়াও গোপালগঞ্জকে পছন্দ করতে পারে না। আইয়ূব খান, ইয়াহিয়া খানও গোপালগঞ্জকে সহ্য করতে পারতো না। আইয়ূব খান আগারতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলো। আবার ইয়াহিয়া খানও ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলাতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছে বলেই তারা গোপালগঞ্জকে সহ্য করতে পারে না।’
গোপালগঞ্জ হচ্ছে বাঙালি জাতির রাজনৈতিক তীর্থস্থান উল্লেখ করে সেলিম বলেন, ‘জিয়াউর রহমানও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর মাজারে মানুষকে যেতে দেয়নি, মাজার জিয়ারত করতে দেয়নি। পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখতো। কেউ গেলে তাদের গ্রেপ্তার করে মামলা দিত।’