নিউজিল্যান্ডের জাতীয় পতাকা পরিবর্তনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জন কে। এখন থেকে তিন বছর অন্তর অন্তর ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে জাতীয় পতাকা পরিবর্তন বিষয়ে ভোট গ্রহন করা হবে বলে গত সোমবার এক ঘোষণায় তিনি একথা জানান।
নিউজিল্যান্ডের বর্তমান পতাকার এক কোনায় আছে ইউনিয়ন জ্যাকের ছবি। যা মূলত যুক্তরাজ্যের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করে। কিছুদিন আগেই দেশটি তাদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনে গণভোট গ্রহন করে। এই ভোটে সঙ্গীত পরিবর্তনেরে পক্ষে দেশের বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ভোট প্রদান করে। তাই এবারো জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের বিষয়টিতেও ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রী কে আরো বলেন, নিউজিল্যাণ্ডের বর্তমান পতাকা একটি নির্দিষ্ট ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা সেই সময় পার করে এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, নিউজিল্যান্ডের এই পতাকার নকশা ঊপনিবেশ এবং উত্তর উপনিবেশ কালের চিহ্ন বহন করে। আমরা সেই সময়ে এখন আর নেই। নতুন একটি পতাকা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নিউজিল্যান্ডের মানুষের সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহনের জন্য সবার কাছে আমি প্রস্তাব দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী নিজে একটি নতুন পতাকার ডিজাইন দিলেও তিনি জানান যে, যে কোনো নতুন পরিকল্পনা এবং নতুন ডিজাইনকে তিনি সাদরে গ্রহন করবেন। তবে তা হতে হবে সর্বজনগৃহীত।
ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির এক ভাষনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা একটি শক্তিশালী সংবিধান পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি বিট্রিশ রাজতন্ত্রের প্রতি সমর্থন জানানোর সময় আমরা অতিক্রান্ত করেছি অনেক আগেই।’
গতমাসে পতাকা পরিবর্তন বিষয়ে একটি গণসমীক্ষার আয়োজন করে দেশটি। সেই সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশটির মোট ২৮ শতাংশ মানুষ পতাকা পরিবর্তনের পক্ষে। অন্য ৭২ শতাংশ মানুষ বর্তমান পতাকা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে চাইছেন।