সন্তান জন্মের পর তাকে পরিপূর্ণ করে গড়ে তুলতে মায়ের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। একজন মা পারেন তার সন্তানকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মা হিসেবে আপনাকে কিছু কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে।
আপনি আপনার শিশুর সঙ্গে যেমন আচরণ করবেন, শিশু ঠিক তেমন আচরণ করবে। আপনার কাছ থেকেই সে আচরণ শিখবে। এজন্য শিশুর সঙ্গে ভালো আচরণ করুন। শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। শিশুরা মায়ের কাছে সব কথা বলতে চায়।
শিশু কোনো অন্যায় করার পর যদি স্বীকার করে তাহলে তাকে বকা দেয়া ঠিক না। শিশুকে বুঝিয়ে বলুন সে যেন এমন কাজ আর না করে। সত্য কথা বলার পরও যদি তাকে বকা দেন কিংবা মারধর করেন তাহলে সে মিথ্যা বলতে শিখবে। ভুল থেকে তাকে শুধরে নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। বড় ধরনের অন্যায় করলে শাসন করুন তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন মাত্রা-রিক্ত না হয়।
ভালো কোনো কাজ করলে শিশুর প্রশংসা করুন। প্রশংসা করলে ভালো ভালো কাজ করার উৎসাহ পাবে। সে ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করবে, একই সঙ্গে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
ছোট ছোট কাজ যেমন: বই খাতা ও খেলনা গুছিয়ে রাখতে বলুন। ছোটবেলায় থেকে সে যদি ছোট ছোট কাজ করে তাহলে বড় হয়ে সে নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করবে। শিশু একা না পারলে প্রয়োজনে আপনি তাকে সাহায্য করুন। এতে সে আত্মনির্ভরশীল হয়ে গড়ে ওঠবে।
নিয়মনুবর্তিতা শেখাতে হবে। সময়মতো ঘুম থেকে ওঠা, পড়ার সময় পড়া, খাওয়ার সময় খাওয়াতে হবে। নিজের প্রতি যত্নশীল হতে শেখাতে হবে। একইসঙ্গে বড়দের প্রতি সম্মান ও ছোটদের আদর করতে শেখাতে হবে। ছোট থেকে যদি সে এসব শেখে তাহলে সে বড় হয়ে একই ধরনের কাজ বজায় রাখবে।
শিশুকে নীতি নৈতিকতা শিখিয়ে বড় করে তুলতে হবে। একইসঙ্গে শিশুকে সৃজনশীল কাজ যেমন: ছবি আঁকা, গান, কবিতা আবৃতি শেখান কিংবা অন্য যেকোন সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখুন। মাঝে মাঝে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যান, যা তার মানসিকতার সুস্থ বিকাশে সাহায্য করবে। তবেই আপনি হবেন একজন আদর্শ মা।