কর্মকর্তারা পড়েছেন ভীষণ বিপদে। প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের বিবরণী পূরণ করতে গিয়ে তাদের এ বিপদ। দুটি মুঠোফোন ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আর কোনো সম্পদ নেই। কী আর করা! ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে বাকি ঘরগুলো ফাঁকা রেখেই প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের বিবরণীর জমা দিতে হচ্ছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, সুশীল কৈরালা সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য বেশ পরিচিত। তাঁর কোনো সম্পদ নেই। আছে কেবল দুটি মুঠোফোন।
মুখ্য সচিব বসন্ত গৌতম গতকাল শনিবার পিটিআইকে জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী জমা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের বিবরণী তৈরি করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঝামেলায় পড়েছেন। কারণ বিবরণীতে উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদ নেই প্রধানমন্ত্রীর। বসন্ত গৌতমের ভাষ্য, কৈরালার কোনো বাড়ি নেই, জমি নেই, বিনিয়োগ নেই। তাঁর কোনো গাড়ি নেই। মোটরবাইকও নেই।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ৭৫ বছর বয়সী এই প্রধানমন্ত্রীর কোনো সোনাদানা কিংবা রুপা নেই। তাঁর নামে অন্য কোনো সম্পদও নেই। আছে কেবল দুটি মুঠোফোন।
বসন্ত গৌতম বলেন,এই মুঠোফোন দুটিকে প্রধানমন্ত্রীর সম্পদ হিসেবে আমরা উল্লেখ করতে পারছি না। এ কারণে সম্পদের বিবরণী কীভাবে পূরণ করব, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। ওই কর্মকর্তা জানান, এমন পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের সম্পদ উল্লেখ না করেই প্রধানমন্ত্রীর সম্পদের বিবরণী জমা দেবেন তাঁরা। বিবরণীতে কেবল প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য থাকবে। গত মাসে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কৈরালা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উঠার আগে কাঠমা-ুর উপকণ্ঠে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। দলের প্রেসিডেন্টের জন্য নেপালি কংগ্রেস ওই বাসাটি ভাড়া করেছিল। অবিবাহিত কৈরালা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পরও সাদামাটাভাবে জীবনযাপন করছেন।