মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির অনুসন্ধানে নেমেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। গত ১৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে এ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এ কাজে নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট ও দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট (এমপিএ) ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বিমানটির কোনো নিশানা পাওয়া যায়নি।
বুধবার নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে বিএনএস ওমর ফারুকের পরিবর্তে নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ ও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সমুদ্রজয় অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বঙ্গোপসাগরের নিজস্ব এলাকাকে ৮টি ভাগে বিভক্ত করে নিখোঁজ বিমানের সম্ভাব্য গতিপথ বিবেচনায় দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল দিক থেকে অনুসন্ধান কাজ শুরু করে নৌবাহিনী। বঙ্গোপসাগরে এখন পর্যন্ত ৮৭ হাজার ৫৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে।
অনুসন্ধান কার্যক্রম নিয়ে বুধবার প্রেস ব্রিফিং করে নৌবাহিনী। এসময় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নৌ অপারেশন্স পরিদপ্তরের পরিচালক কমডোর সৈয়দ মকছুমুল হাকিম, (এনডি), এনডিসি, এনসিসি, পিএসসি, বিএন। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন নৌ গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক কমডোর এম রাশেদ আলী, (ট্যাজ), পিএসসি, বিএন। আরো উপস্থিত ছিলেন- সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশান্স) রিয়ার এডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী, (জি), এনডিসি, পিএসসি ও অন্য পদস্থ কর্মকর্তারা।
নৌবাহিনীর সার্চ এরিয়া
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী এমএইচ-৩৭০ (বোয়িং৭৭৭) বিমানটি ২৩৯ আরোহী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে। রাত ১টায় বিমানটির সঙ্গে শেষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকেই এটির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
বিমানটির গতিপথ এবং অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করা এখনো সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিমানটি তার পরিকল্পিত গতিপথ থেকে সরে গিয়ে পশ্চিম দিকে অথবা দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিমে দিক পরিবর্তন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে উত্তর পশ্চিমের গতিপথ বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়েও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরপরই ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান চালানোর নির্দেশ দেন।