বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যার বেসাতি শুনতে শুনতে জাতি ক্লান্ত হয়ে গেছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করলে তার শান্তির ঘুম হয় না। বিভিন্নভাবে লবিং করে তিনি অনেক ডক্টরেট ডিগ্রি সংগ্রহ করেছিলেন। এসব ডক্টরেট ডিগ্রি নিতে কোনো গবেষণার প্রয়োজন পড়েনি। তবে একটি বিষয়ে তিনি যথার্থ ডক্টরেট ডিগ্রি পেতে পারেন, সেটি হলো মিথ্যাচার ও অপপ্রচার।'
গতকাল বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রিজভী এসব কথা বলেন। গত মঙ্গলবার জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতেই এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। গতকাল শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, জিয়া কারফিউ গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। '৭৫ থেকে '৮৬ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি রাতে কারফিউ ছিল। এটি হয়তো অনেকের স্মরণ নেই। তিনি বলেন, 'অনেকে বলে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র দিয়েছে। আমরা এটিকে কারফিউ গণতন্ত্র বলি। এ সময় ধনিক শ্রেণী গড়ে ওঠে। গরিব আরও গরিব হয়েছে। '৭৫-এর আগে কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়নি।' তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির দরজা খুলে দেওয়া হয়। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করা ও কালোটাকার প্রচলন শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, '৭৫ থেকে ৮৬ সাল পর্যন্ত প্রতিরাতে কারফিউ থাকলে ৮৬-র নির্বাচনের আগে সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লং ড্রাইভে গেলেন কীভাবে? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে তার স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার লেখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ শীর্ষক বইটি পড়ার পরামর্শ দেন। রিজভী দাবি করেন, ওই বইয়ে ওয়াজেদ মিয়া জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা বলেছেন। ওই সময় জিয়াউর রহমানের জন্য যে তিনি দোয়া করেছিলেন, সে কথাও উল্লেখ করেন রিজভী।
রিজভী অভিযোগ করেন, রাজশাহী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ফেনী ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে।