সিলেট: সিলেট সদর উপজেলায় প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতির মধ্যেও ভোটারদের শঙ্কা কাটছে না। এ উপজেলায় ৭৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। দলীয় কোন্দল ও একাধিক প্রার্থী থাকায় একটি দলের নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র দখলসহ বড় ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষের পরিকল্পনা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশেষ করে চা বাগান এলাকাগুলোতে প্রার্থীরা প্রভাব বিস্তার করার পরিকল্পনা করছেন। দু’জন প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গভীর রাত পর্যন্ত মোটর সাইকেল শোডাউন, ট্রাক মিছিল করলেও এদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের। এছাড়া ভোটারদের ভোট কেনার জন্য টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ভোটাররা জানান, গত শুক্রবার মধ্য রাতে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ওই দিন গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার মোগলগাঁও, হাটখোলা, কান্দিগাঁও, জালালাবাদ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা মাইকিং করে প্রচারণা চালান। এমনকি গতকাল শুক্রবারও বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা গোপনে গণসংযোগ ও বৈঠক করেছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ রাত ৮টার দিকে সোনাতলায় নির্বাচনী পথসভা করার সময় বড় মাইক ব্যবহার করা বন্ধ করা হলেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহ জামাল নুরুল হুদা ও বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কাহের শামীম রাত ১২টার পরও বড় মাইকে প্রচারণা চালান। গভীর রাত পর্যন্ত মোটর সাইকেল শোডাউন, ট্রাক মিছিল করে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা হলেও নির্বাচন কর্মকর্তাদের কোনো ব্যবস্থা নেননি।
একটি সূত্র জানায়, দলীয় কোন্দল ও একাধিক প্রার্থী থাকায় একটি দলের নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কা করে কেন্দ্র দখলসহ বড় ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কতটা প্রস্তুত আছেন তা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা অস্বীকার করে সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার পাঁয়তারা কেউ করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’