তৃতীয় ধাপের চেয়ে রোববার অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আরো ভালো ফলাফল চায় আওয়ামী লীগ। সেই অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মীদের সব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
গত ১৯ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই দফার উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি ৯৭টি, আওয়ামী লীগ ৭৭টি, জামায়াত ২১টি ও অন্যান্য দলগুলো ২২টিতে বিজয়ী হয়। কিন্তু তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ৮১টি উপজেলায় ৭৭টি উপজেলার ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৩৭ জন ও বিএনপি-সমর্থিত ২৬ জামায়াতের ৭ জন, অন্যান্য ৭ জন প্রার্থী জয়লাভ করে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, ‘দলের হাইকমাণ্ড থেকে আগামী দুই ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জয়ী করে আনতে সব ধরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে সফরকারী দলকে এবং স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। আর সেই নির্দেশনা মোতাবেক সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যার প্রমাণ তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের ফলাফল।’
জানা গেছে, ২৩ ও ৩১ মার্চের উপজেলা নির্বাচনে জয়লাভ করতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনা এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর। এই নির্দেশনার বাইরে গেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এর দায়িত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের।
এছাড়া আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকদেরও তার নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ কারার জন্য।
এ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক সরদার এম আনোয়ার হোসেন জানান, দলের হাইকমান্ড থেকে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। তা আমরা পালন করার চেষ্টা করছি। আশা করি ওই নির্দেশনা ফলো করলে এই তিন দফা নির্বাচনের চাইতে আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভালো ফলাফল করবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরি বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় চতুর্থ ধাপে আমাদের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক কম। তাই এবার আমরা আশা করছি তৃতীয় ধাপের চাইতে ভালো ফলাফল হবে আমাদের।’
উল্লেখ্য, আগামীকাল ২৩ মার্চ ৯১টি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।