চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান, যুবলীগ নেতাসহ চারজন নিহত হয়েছে।
রোববার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কুমিল্লার বরুড়ায় এসব ঘটনা ঘটে।
গজারিয়ায় নিহত হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন প্রধান(৬৫)। এছাড়া রাজাপুরের তারাবুনিয়া গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে যুবলীগ নেতা রিপন (২৮), আখাউড়া উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি হাদিস মিয়া (৩০) ও কুমিল্লার বরুড়ার মনির হোসেন (৩০।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন প্রধানকে (৬৫) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বালুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
আখাউড়ার তারাগণ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে গণনার জন্য ব্যালট বাক্স নেয়ার সময় ছিনতাইকালে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলকর্মী হাদিস মিয়ার মৃত্যু হয়।
দুপুর ১১টায় রাজাপুরে তারাবুনিয়ায় নির্বাচনী কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীর কর্মি-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে যুবলীগ কর্মি রিপন আহত হয়। পরে বরিশাল নেয়ার পথে রিপন মারা যায়।
এছাড়া কুমিল্লার বরুড়ায় নির্বাচনী সংঘর্ষে মনির হোসেন নামে একজন নিহত হয়েছে।