গতকাল রাতে বিএনপি'র এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে জনগণের কাঁধে চেপে বসা বর্তমান সরকার বিরোধী দলকে দমন এবং চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদগুলোতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এখন এতটাই উন্মাদ হয়ে গেছে যে, তারা বিএনপি'র নেতা-কর্মীদেরকে জুলুম-নির্যাতন ও গ্রেফতারের পর এখন খুন করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় আঁচ করতে পেরেই ক্ষমতাসীনরা দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কব্জায় এনে দেশব্যাপী হত্যা, জখমের তাণ্ডব সৃষ্টির এক মহাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে। আর এসব করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে-ক্ষমতা হাতছাড়া হয়ে জনরোষের মুখে তাদের দেশত্যাগের পথও যেন বন্ধ না হয়ে যায়। দেশটাকে নিজের সম্পত্তি ভেবে জনগণের ওপর একরোখা আধিপত্য বিস্তারের নেশায় ক্ষমতাসীনদেরকে বিকারগ্রস্ত করে ফেলেছে।
দলের দফতর সম্পাদক রিজভী আহমদ স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলা হয়, দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে থামানো যাবে না, বরং নির্যাতনের মাত্রা যতই বৃদ্ধি করা হবে ততই বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা সুসংগঠিত হয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান, গতিশীল ও শক্তিশালী করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবে। বিএনপি'র বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে নিহত হাজিচ মিয়া এবং মনির হোসেনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।