আজ বেলা ১১টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানে ২লক্ষ ৫৪হাজার ৬৮১ জন উপস্থিত হয়েছেন বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাধ্যতামূলক ভাবে রাজধানী ঢাকা এবং আশে পাশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা,সকল গারমেন্টস কারখানার শ্রমিকবৃন্দ,সেনাবাহিনী সহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যগন দের সরকারী আদেশে প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হতে বাধ্য করা হয় ।সাথে যোগ হয় অতি উৎসাহী সরকারী দলের কর্মী সমর্থকগন।প্রায় ২কোটি মানুষ অধ্যুষিত ঢাকা মহানগরীতে আড়াই লক্ষ মানুষ একত্রিত হওয়া কোন বড় বিষয় নয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে জানান।
বুধবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। ঘোষণাায় বলা হয়, ‘এই হিসাব মেশিনের গনণা অনুযায়ী। আমরা এখানে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ উপস্থিত রয়েছি।’
গেট দিয়ে অংশগ্রহণকারীর টার্গেট পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে ১১, ১৪ ও১৫ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ১১ নম্বর গেটটি পৌনে ৯টার দিকে বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে ১৪ ও ১৫ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে অন্য গেটগুলোতে প্রচণ্ড চাপ পড়েছে।
১৪ ও ১৫ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মানুষ ঢুকতে থাকে। পরে গেট দুটি ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়া হয়।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢোকার জন্য ১৫টি গেট রয়েছে। প্রত্যেকটি গেট দিয়ে ২০ হাজার লোক ঢোকানোর টার্গেট রয়েছে।
১৪ ও ১৫ নম্বর গেট সামরিক জাদুঘরের বিপরীত দিকে অবস্থিত। তাই নিরাপত্তার জন্য সকাল সাড়ে ৭টার দিকেই ১৫ নম্বর গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পর সাড়ে ৮টায় বন্ধ করে দেয়া হয় ১৪ নম্বর গেট। এ দুটি গেট বন্ধ করে দেয়ার অন্যান্য গেটে প্রচণ্ড চাপ পড়ে যায়। মানুষ ঢুকতে না পেরে ১৪ ও ১৫ নম্বর গেটের কাছে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে তার সেনাবাহিনী ও পুলিশের বাধা উপক্ষো করে গেট খুলে ঢুকে যায়। পরে ব্যারিকেড দিয়ে গেট দুটি আটকে দেয়া হয়।আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের আকর্ষনীয় উপহার দেয়ার ঘোষনার ফলেও কিছু মানুষ এসেছেন বলে সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
ঢাকার মুগদা থেকে দল বেধে এসেছেন আহমেদ আজম ও তার বন্ধুরা।তিনি দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে জানান,তারা প্রতি বছরই সামরিক কূচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করতে এখানে আসেন।এবার কূচাওয়াজ না হওয়ায় তারা আশা হত।জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠানে তারা এসেছেন স্রেফ কৌতুহল এবং ছুটিরদিনের সময়টা কাটাতে।জাতীয় চেতনার উন্মেষে সেনা কূচকাওয়াজ অনেক বেশী কার্যকর বলে তিনি মত দেন।
পল্লবী থানার এসআই দুলাল দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটা গেটে একটি লিমিটেশন রয়েছে। প্রত্যেক গেটে ২০ হাজার করে লোক ঢোকানোর কথা। এ টার্গেট পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় গেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’