ভারতের উত্তরপ্রদেশে দুদিন আগে অনুষ্ঠিত মহাপঞ্চায়েতে জড়ো হয় ৫২টি গ্রামের কয়েক হাজার লোক। যাদের বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থানের যাদব সম্প্রদায়ভুক্ত। আর সেই পঞ্চায়েতে মেয়েদের জিনস পরায় দেয়া হলো ফতোয়া। আর তা দিলেন বারসানার সাধু রাম প্রসাদ।
তবে এ ফতোয়া নিয়ে চলছে তর্কবিতর্ক। মেয়েদের কী পরা উচিৎ, কী উচিৎ নয় সে বিষয়টি নিয়ে মহাপঞ্চায়েতকে মাথা ঘামানো ভালো চোখে দেখছে না অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় শিক্ষক অনুজ প্রসাদ বলেন, ‘এটি একেবারে অযৌক্তিক নির্দেশ। কেন গ্রামের মাথারা এ ধরনের ফতোয়া দেবেন? মেয়েরা কী পরবে না পরবে তা মেয়েরাই ঠিক করুক।’
যদিও মহাপঞ্চায়েতের আগের বেশকিছু সিদ্ধান্ত এলাকার মানুষের সমর্থনই কুড়িয়েছে। এই মহাপঞ্চায়েতই নির্দেশ দিয়েছিল, মদ্যপান, পণ নেয়া-দেয়া ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধ কখনই মেনে নেয়া হবে না।
এছাড়া ডিজে মিউজিক, ট্রাক্টর, গাড়ি বা মোটরসাইকেল উপহার দেয়াকেও হারাম করেছিল এ মহাপঞ্চায়েত। যমুনা বাঁচাও আন্দোলনের প্রাণপুরুষ রমেশ বাবাই মহাপঞ্চায়েতকে এসব ফতোয়ার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার নেতৃত্বেই মেয়েদের জিনস পরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তিনি হয়েছেন ভিলেন।