পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক ও প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দেশটির একটি আদালত এ অভিযোগ গঠন করেছে।
পাকিস্তানে এই প্রথম কোন সাবেক সেনাপ্রধান রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত হলেন।-ফোকাস বাংলা অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত ও ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির কারণে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে এবং এই মামলাতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে পারভেজ মোশাররফের ফাঁসি হতে পারে। আদালতের বিচারক মোশাররফের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ পড়ে শুনিয়েছেন। তবে তিনি প্রথম থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। মোশাররফ বলেছেন, তারা বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এরপর মোশাররফ ২০০৮ সালে স্বেচ্ছানির্বাসনে যান এবং ২০১৩ সালে নির্বাচন উপলক্ষে দেশে ফিরে আসেন। মোশাররফ একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, তবে সেটা খুব একটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি। ১৯৯৯ সালে পারভেজ মোশাররফ ততকালীন প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরিফকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। মুসলিম লীগের সেই নাওয়াজ শরিফই এখন আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন। সূত্র: আইআরআইবি।