আইনের চোখে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খন্দকার মোশতাক বৈধ রাষ্ট্রপতি নন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিলের মধ্য দিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, জেনারেল জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক এখন আর বৈধ রাষ্ট্রপতি নন। তাদের রাষ্ট্রপতি খেতাবের সামনে ‘অবৈধ’ শব্দটা উল্লেখ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাষ্ট্রপতি বহুজন হয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ বৈধ আবার কেউ অবৈধ। এ সময় এই তথ্যটি হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে বলেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। আইনের চোখে খন্দকার মোশতাক ও সায়েম সাহেবও অবৈধ রাষ্ট্রপতি। সংবিধান সংশোধন হওয়ায় তারা অবৈধ হয়ে গেছেন।
খালেদা জিয়া তিনটি উদ্ভট তথ্য হাজির করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন, স্বাধীনতার ঘোষক ও প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এটা পরিকল্পিত মিথ্যাচার, মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করার উদ্দেশে। মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করে আবার পঞ্চম সংশোধনীতে ফেরত যাওয়ার উদ্দেশ্য তাদের।
প্রথম রাষ্ট্রপতির উদ্ভট তথ্য হাজির করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, উনি এসব উদ্ভট তথ্য হাজির করতে পারেন, পাগলামি করতে পারেন কিন্তু গণমাধ্যম ও সমাজ তো পাগল হতে পারে না। তাল দিতে পারে না। প্রথম রাষ্ট্রপতির তথ্য হচ্ছে ইতিহাস হত্যার তথ্য, মুক্তিযুদ্ধের সূচনাকে বিতর্কিত করা, বাংলাদেশের সবকিছুকে ওলটপালট করে দেয়ার তথ্য। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গণমাধ্যমকে সত্য তুলে ধরতে হবে।
ডিএসইসি সভাপতি এনায়েত ফেরদৌসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক আবু নাসের, ডিএসইসি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া প্রমুখ।