ছয়টি হল ফিরে পাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে শহীদ নজরুল ইসলাম হলটি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য পাঁচটি হলও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে হল উদ্ধার কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশগ্রহণকারী সদস্যদের একজন হলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি জবির হল উদ্ধার আন্দোলনের আহ্বায়কও। শরিফুল রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন, সভায় বেদখল হয়ে যাওয়া হলগুলো উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে হলগুলো। শরিফুল ইসলাম আরো জানান, মন্ত্রণালয়ের ওই সভার সিদ্ধান্তের পরপরই দুপুরে শহীদ নজরুল ইসলাম হলটি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শহীদ আব্দুর রহমান হলে ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে হলটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই হলটিতে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ সদস্যরা থাকছেন। অন্যদিকে শহীদ আজমল হোসেন হলের বর্তমান বাসিন্দাদেরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হলটি খালি করে দিতে বলেছেন ম্যাজিস্ট্রেট। বাকিগুলোও নির্দিষ্ট সময়ে বুঝিয়ে দিতে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান হল উদ্ধার কমিটির সভাপতি শরিফুল। এদিকে এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল বের করেন। তারা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান।
তবে সবগুলো হল উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন তারা। প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হলগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়। পরে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন। আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষার্থীও। একপর্যায়ে হল উদ্ধার আন্দোলন হয়ে ওঠে সবার দাবি।