DMCA.com Protection Status
title="৭

কারা কারা থাকছেন বিএনপির মহানগর কমিটিতে

image_80792_0বিএনপিকে রাজপথের আন্দোলনে ফিরিয়ে আনতে ঢাকা মহানগরীতে শিগগিরই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। সম্প্রতি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন। মহানগর কমিটির নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন ও নানা সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এই কমিটি করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বেগম খালেদা জিয়া নিজের হাতে নিয়েছেন। ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ হবে তিন মাস, যাদের কাজ হবে থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠন করে তিন মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপি'র সম্মেলন করা। এই সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগরকে দুই ভাগে ভাগ করে দুটি কমিটি গঠন করা হবে।




দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, কমিটির আহ্বায়ক থাকছেন বর্তমান আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু অথবা আসম হান্নান শাহ। তবে খোকা এবং মিন্টুর পাল্লা ভারী। আর সদস্য সচিব রাখা হতে পারে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে। আমান উল্লাহ আমান এবং আবু সাঈদ খান খোকনের নাম প্রস্তাব করা হলেও তাদের বিপক্ষ গ্রুপ শক্ত থাকায় তাদের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কেরানীগঞ্জের আধিপত্য নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমানের দ্বন্দ্ব দলের ভেতর-বাইরে প্রকাশ্য। ফলে তাদের নিয়ে হাইকমান্ড বিব্রত বলে জানা যায়।





চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, ২১ সদস্যের কমিটির সদস্য হিসাবে রাখা হচ্ছে: আবদুস সালাম, আবু সাঈদ খান খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, নগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদ, কাজী আবুল বাশার, এম এ কাইয়ুম, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ। আহ্বায়ক কমিটিকে পরামর্শ এবং কাজের তদারকির জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটি রাখা হতে পারে। সেখানে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আসম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলুসহ কয়েকজনকে রাখা হতে পারে। মহানগর কমিটির পরেই ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল পুনর্গঠন করা হবে।





বেগম খালেদা জিয়া আহ্বায়ক কমিটিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অথবা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে রাখতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তারা দু'জনই অপারগতা প্রকাশ করেন। সাদেক হোসেন খোকা জানান, তিনি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে সাক্ষাতে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক পদে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আসম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু এ পদে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। আবার সম্প্রতি খালেদা জিয়া মিন্টুকে তার গুলশান কার্যালয়ে ডাকেন। এ সময় তাকে আবারও মহানগরের আহ্বায়ক হতে বলেন। এ সময় তিনি চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগ চান।





অন্য সিনিয়র দু'জন নেতাকে দায়িত্ব নিতে বললেও তারা অনীহা প্রকাশ করেন বলে জানা যায়। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ইত্তেফাককে বলেন, 'আন্দোলনের জন্য মহানগর কমিটিতে তরুণদের সামনে আনতে হবে। আমরা সিনিয়ররা সেখানে এখন যাওয়াটা যৌক্তিক মনে করি না।'





বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান ইত্তেফাককে জানান, দলের শীর্ষ নেতাদের জেলে থাকা ও উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততাসহ কিছু বাস্তবতার কারণে মহানগর কমিটি এতোদিন আটকে ছিল। এখন যে কোন দিন চেয়ারপার্সন এই কমিটির ঘোষণা দেবেন। ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পথে। যেহেতু এখন উপজেলা নির্বাচন শেষ তাই দুই-তিন দিনের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সাথে আলোচনা করে খালেদা জিয়া এ ব্যাপারে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিবেন।





নজরুল ইসলাম খান জানান, চেয়ারপার্সন নিজেই সবকিছু তদারকি করছেন। কমিটির গঠন নিয়ে কাজ করেছেন তিনি নিজেই। শিগগিরই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। এই কমিটিতে চমক থাকবে। তিনি বলেন, নতুন কমিটির মাধ্যমে ঢাকাকে আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত করা হবে।





গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা মহানগর কমিটি পুরোপুরি ব্যর্থ ছিল। বিশেষ করে ২৯ ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে সাড়া মেলেনি। যার কারণে মহানগর নেতৃত্বের ওপর চরম ক্ষুব্ধ খালেদা জিয়া। অতপর ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর নেতাদের ডাকেন খালেদা জিয়া। তাদের সঙ্গে বৈঠকে বর্তমান কমিটিকে 'ব্যর্থ-অপদার্থ' আখ্যা দেন তিনি। এরপর গত ৯ মার্চ বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দ্রুত কমিটি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১২ মার্চ সাদেক হোসেন খোকা মহানগরীর আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতি নেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করে আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার জন্য দলের কয়েকজন নেতাকে দায়ী করেন।





২০১১ সালের ১৪ মে সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক এবং আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করেন বেগম জিয়া। এই কমিটিকে ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। ওইসব কমিটি গঠনের পর নগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে জানানো হয়।





কিন্তু ৬ মাসের স্থলে প্রায় তিন বছরেও নগর বিএনপি কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। তার আগে ওয়ান ইলেভেনের সময় বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকাবস্থায় তার নির্দেশে ২০০৮ সালের ৪ জুন দলের প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন মহানগর কমিটি ভেঙ্গে দেন। খালেদা জিয়া মুক্তির পর ২ বছর ৪ মাস ধরে বিএনপির মহানগর কমিটি করা হয়নি। কারণ মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকার দ্বন্দ্ব। পরে মির্জা আব্বাসকে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয় এবং খোকাকে 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!