সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে নির্বাচন কমিশনকে ইমপিচ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।
তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানে বলা আছে এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হতে পারেন। কিন্তু সংবিধানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কথা বলা নেই। এটা সাংবিধানিক পদ। মোবারক সাহেব নিজেকে যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কমিশনার দাবি করেছেন তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছুটিতে গিয়ে নিয়ম ভেঙেছেন। তাই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে বর্তমান কমিশনকে ইমপিচ করা উচিৎ।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারকের কঠোর সমালোচনা করে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগের ক্যাডারদেরও ছাড়িয়ে গেছেন।’
উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন দলের নেতা এবং নির্বাচন কমিশন মিলে দেশের নির্বাচন পদ্ধতি এবং গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।’
যে প্রক্রিয়ায় ভারতকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন সুবিধা দেয়া হচ্ছে তার বিরোধিতা করে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘এখানে দেশের কী স্বার্থ রয়েছে সরকার তা দেখছে না।’
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মাহবুব উল্লাহ, যুব দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন।