পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে বিশ্বরেকর্ড গড়ার ঘটনা নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। গিনেজ বুকের ওই রেকর্ডটিই নাকি ভুয়া! ফেস্টিভ্যালে ২৮টি রেকর্ড যারা পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা নাকি গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষের কেউ-ই নন। গত শুক্রবার তারা জানিয়েছে, ওই বিচারকদের সঙ্গে তাদের টিমের কোনো সম্পর্কই নেই।
এ নিয়ে রোববার পাঞ্জাব তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, গিনেজ রেকর্ডে ভুয়া বিচারক নেয়ার খবরে প্রমাণিত হয় পাঞ্জাব সরকার দুর্নীতিতে এ যাবতকালের সব রেকর্ড ভেঙেছে।
ওই ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে সরকার যে ৬০০ কোটি রুপি খরচ করেছে তার একটা অংশ গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুক কর্তৃপক্ষের ফি হিসেবে দেয়া হয়েছে। তার মানে ফেস্টিভ্যালে যে রেকর্ড হয়েছে তা পুরাই মিথ্যা এবং জনগণের টাকা মেরে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করা উচিৎ। ক্রীড়ামন্ত্রী রানা মাসুদ এবং আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এর ব্যাখ্যায় নতুন গল্প ফাঁদার আগেই যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা এর একটা সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিৎ।
তিনি আরো বলেন, এটা স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট, শিক্ষাদানের পেছনের শিক্ষকদের খাটুনি সব জলে গেল। এর বিনিময়ে সরকার একটি ভুয়া রেকর্ড করলো এবং শিশুদের শিক্ষার মূল্যবান সময় নষ্ট করলো।
এ ব্যাপারে পিটিআইয়ের তথ্যসচিব আন্দালিব আব্বাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আর সংসদ সদস্য হামজা শাহবাজের ছবি সম্বলিত পোস্টার বিজ্ঞাপনেই তো প্রায় একশ কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে। তাদের ছবি দিয়ে এমনভাবে বিজ্ঞানপন করা হয়েছে যেন এটি ওই উৎসবের নয় ওই দুই ব্যক্তির বিজ্ঞাপন।
উল্লেখ্য, গত মার্চে পাঞ্জাবের ন্যাশনাল হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল।