বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে এবার বাংলার ‘চার নম্বর মীরজাফর’ বলে অাখ্যায়িত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
‘জিয়া বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের বিপরীতে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ারও সমালোচনা করে তাকে ‘রাজাকারের মাতা’ বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মঙ্গলবারের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় তিনি এমন কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের চার নম্বর মীরজাফর। রাজাকার আমদানির মধ্য দিয়ে তিনি চার নম্বর মীরজাফর হয়েছেন। আর খালেদা জিয়া রাজাকারের মাতা। শয়তান কখনো পাগল হয় না, বদলায় না, ভুল স্বীকার করে না। মানুষ আর শয়তান কখনো মিটমাট করতে পারে না। ইয়াহিয়া, জিয়া ও খালেদা জিয়ার ভূমিকা শয়তানের ভূমিকা। তাদের সঙ্গে কখনো আপোষ করা যায় না।’
‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য খালেদা অস্বাভাবিক আচরণ করছেন’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মধ্যে একটা খারাপ উদ্দেশ্য লক্ষ্য করছি। এটা সিস্টেমেটিক পাগলামি। স্বাধীনতা দিবসে সবাই যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন, তখন তিনি ঘরের পিছনে লুকিয়ে থাকলেন। সবাই যখন ইতিহাসকে মানতে চায়, তিনি তখন ধামাচাপা দিতে চান। আসলে খালেদা জিয়া দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। তিনি রাজাকারের অপকর্ম হালাল ও আড়াল করার জন্য এমন করছেন।’
খালেদার সমালোচনা করে এ মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জোর করে কেউ সংসদের বাইরে ফেলে দেয়নি। তিনি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করেছেন। তিনি আলোচনার পথ মাড়াননি। তিনি অন্য কিছু চান, অন্য কিছু করেছেন। শেখ হাসিনার আন্তরিকতার জবাব খালেদা জিয়া নাশকতা দিয়ে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া নিজেই নিজেকে খরচের খাতায় নিয়ে গেছেন। এর খেসারত তিনি দিচ্ছেন। তার জন্য তওবা করতে হবে। জামায়াত ও জঙ্গীবাদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। সামান্যতম ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে দুর্নীতিতে রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতা করছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সে প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। মন্ত্রী হোক, নেতা হোক দুর্নীতির গন্ধ পেলেই দুদকের বারান্দায় যেতে হচ্ছে।’
ইনু বলেন, ‘এটা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ। এখানে হারার সুযোগ নেই। এখানে সন্ধির কোন সুযোগ নেই। মুক্তিযোদ্ধারা মরে যেতে পারে, স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে না।’