সরকার পরিপূর্ন ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। প্রশাসনে দলীয়করণ, বিচার বিভাগে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর সরকার গণমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া শেষ করেছে। এ জন্য আমার দেশসহ গণমাধ্যম বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই গণমাধ্যমের ওপর হামলা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারী এই শাসকের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমান একাই যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। কারাগারে তার অবস্থা ভালো নয়। অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে বের করে আনা না গেলে তার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দৈনিক আমার দেশ প্রকাশ, সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও বাক স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে পেশাজীবী সমাবেশে তিনি এসব বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (্এ্যাব) ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) নবনির্বাচিত মহাসচিব এমএ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. আবদুল মান্নান মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (্এ্যাব) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ্যাব নেতা প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু।
মাহমুদুর রহমানের শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২৪ দিন কাশিমপুর কারাগারে মাহমুদুর রহমান ও আমি একসঙ্গে বন্দি ছিলাম। তাকে প্রথমে দেখে আমি চিনতে পারিনি। তার শরীর অনেক খারাপ হয়ে গেছে। স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে তিনি একাই যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তার ডান হাত উপরে উঠে না। নিয়মিত খেতে ও ঘুমাতে পারেন না। মুক্তি পাওয়ার পর বিষয়টি বিএনপি চেয়ারপারসনকে জানিয়েছি এবং বলেছি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমানকে বের করে আনা না গেলে তার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় তার বিরুদ্ধে এই নির্যাতন চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে। দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই সরকার শুধু আমার দেশ বন্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি, সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে। ইসলামিক টিভি ও দিগন্ত টিভিও বাদ যায়নি। আর এখন তারা নিজেদের লোক দিয়ে নতুন নতুন টিভি চ্যানেল খুলছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখন গণমাধ্যমে হামলা করে। ’৭৫-এ সংবাদপত্র বন্ধ করেছিল। তারও আগে মওলানা ভাসানীর হক কথা বন্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ। মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতায় এলেই তাদের প্রথম কাজ পত্রিকা বন্ধ করা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা। মানুষকে সত্য কথা বলতে দেয় না। তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তাদের লেবাস আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ সংবাদপত্রের মালিকানাই তাদের। এভাবে গণমাধ্যমে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ও বিরোধী গণমাধ্যম বন্ধ করার নীতি গ্রহণ করেছে এই সরকার।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ইসি শুধু অযোগ্যই নয়, অথর্ব। নির্বাচন কমিশনাররা কথা বললে কোনো বাছ-বিচার ছাড়াই এমন কথা বলেন, যা অন্য সময় হলে তাদের কী পরিণতি হতো তা বলা যায় না। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। এমনকি তারা বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করাসহ গণমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি গেলেও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যে সুষ্ঠু হতো না তা প্রমাণ হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে। এতে অনেকের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সরকার একদিকে প্রশাসনকে দলীয়করণ, সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসনের এ প্রক্রিয়াকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
বিএনপির আন্দোলনের দুর্বলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতিবাদে সারাদেশে যে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল যার কারণে অনেক এলাকায় সাইকেল পর্যন্ত চলেনি। ওই আন্দোলন থেকেই বিএনপি ও বিরোধী নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার এবং নির্যাতন শুরু হয়েছিল। তা আজও অব্যাহত রয়েছে। এখনও কাশিমপুর কারাগারে ১০২ জন বিএনপি ও বিরোধী নেতা কারাগারে রয়েছেন। তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী দলের কার্যক্রম ও আন্দোলন কখনো শেষ হবে না। কারণ আমরা বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনভাবে থাকতে দিতে চাই।
বিএনপি ও বিরোধী নেতা গণতন্ত্রের জন্য ত্যাগ শিকার করছে। বিএনপি কোনো দিন নিশ্চিহ্ন হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি যেমন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করে না, দেশের ৯৯ ভাগ মানুষও করে না। এভাবে বিএনপি আদর্শের সঙ্গে দেশের মানুষের মিল রয়েছে। সঙ্গে দেশের ৯৯ ভাগ মানুষের জড়িত রয়েছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দেআলনে উত্থান-পতন থাকে। আন্দোলন চলছে চলবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আমরা চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হব। মনে রাখতে হবে আমরা আমাদের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছি।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, যে বিচার ব্যবস্থা মাহমুদুর রহমান প্রত্যক্ষ করছেন, সেখানে তিনি কখনো নিজের জামিনের জন্য আবেদন করবেন না। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন শেখ হাসিনার বিচার বিভাগ তাকে জামিন দেয়ার অধিকার বিচারকরা রাখেন না। মাহমুদুর রহমানের শাস্তির বিরুদ্ধে আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়েরের সুযোগ পর্যন্ত তাকে দেয়া হয়নি। তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বক্তাদের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মৃত্যুর পরেও এমন কথা বারবার বলা হয়েছিল। কিন্তু বেগম জিয়া দলের হাল ধরে তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি এখনও আছেন। হতাশ হওয়ার কিছু নে্ই। ঢাকা শহরে ডিফেক্ট থাকলেও বিএনপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। অনেক প্রতিকূলতাও বিএনপি বিলীন হয়নি, হবেও না। রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতা বিএনপির আছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও মাহমুদুর রহমানকে মুক্ত করে আনার মাধ্যমে আমরা সেটা প্রমাণ করব।
রহুল আমিন গাজী বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। এ জন্য গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতারের এক বছর পূর্তি হচ্ছে। তারপরও তার মামলা আদালতে শুনানি করা হয় না। তিনি বলেন, বিচারপতিদের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তাই বলে এক বছর ধরে মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশ-এর মামলার শুনানি হবে না—এটা আমরা মেনে নেব না। প্রয়োজনে গণআন্দোলন গড়ে তুলব।
ফরহাদ মজহার বলেন, বিচারকরা বলে থাকেন সংবিধান অনুযায়ী তাদের যে কাউকে আদালত অবমাননার অভিযোগে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এটা অন্য কোনো দেশের আদালতে নেই। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। বিচারকরা আদালতে কোনো নাগরিককে দাঁড় করিয়ে রাখতে পারেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা পৃথিবীর কোনো আদালতে নেই। শাস্তি কী হবে সেটা তারা ঠিক করলেও কার্যকর করে নির্বাহী বিভাগ। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির দুর্বলতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির যে ভূমিকা রাখার দরকার ছিল সেটি তারা করতে পারেনি। সঠিক সময়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে এক সময় বিএনপির নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা আওয়ামী লীগ করলেও গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের পক্ষে তিনি ছিলেন নির্ভীক। আরেক নির্ভীক সৈনিক হলেন মাহমুদুর রহমান। তার সত্য কথা বলায় নাকি আদালত অবমাননা হয়েছে। সাজা দেয়ার ৯ মাস পর মাহমুদুর রহমানের রায় লেখা হয়। এ জন্য তিনি আপিল করতে পারেননি। এটা অন্যায়। সেই আদালত সম্পর্কে কথা বলাতে বিএনপি নেতা গয়েশ্বরকে আবার আদালতে তলব করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিচারপতিদের কাজ সবাই যেন সত্য কথা বলতে পারে সেজন্য সহায়তা করা। কিন্তু সেটা করা হচ্ছে না। দেশে এমন নজিরবিহীন নির্বাচন হলো বিচারকরা কি সুয়োমোটো রুল জারি করতে পারে না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এজন্য বিচারকদের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। তা না হলে জনতার আদালতে তাদের জবাব দিতে হবে।
স্বজনদের হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী মানসিক বিকারগ্রস্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য তিনি প্রথমবার ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন আমার বাবার মৃত্যুতে তোমরা (দেশবাসী) কাঁদোনি, এবার আমি তোমাদের কাঁদিয়ে ছাড়বো। জামায়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে জাতীয় পার্টিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, বিএনপি এখনও ঘুমিয়ে আছে। তাদের ঘুম ভাঙাতে হবে। বিএনপিকে জনগণের পক্ষে, মাহমুদুর রহমানের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। মাহমুদুর রহমান ও আমার দেশ-এর মামলার শুনানি কেন হয় না প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এজন্য প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাংবাদিকরা দল বেধে দেখা করা উচিত। তিনি চেম্বারে দেখা করতে না চাইলে পাঁচশ’ সাংবাদিক গিয়ে তার বাসা ঘেরাও করা দরকার।
অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম বলেন, দেখতে দেখতে মাহমুদুর রহমানের কারারুদ্ধের এক বছর পার হয়ে গেলো। দেশে মুক্তবুদ্ধির প্রয়াসকে বন্ধ করে দিতে যে স্বৈরাচারী চেষ্টা চলছে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার ও আমার দেশ বন্ধ তারই প্রয়াস মাত্র। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ, ১৬ কোটি মানুষ আজ কারাগারেব বন্দি। মাহমুদুর রহমানের জামিন আবেদন করে লাভ না হলেও আবেদন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তা না হলে চলুন আমরা কারাগার ভাঙার সংগ্রাম করি। কাশিমপুর কারাগার ভেঙে আমরা মাহমুদুর রহমানকে বের করে আনি। মাহমুদুর রহমান ও আমাদের মাঝখানে একটি দেয়াল তৈরি করে দিয়েছে সরকার। এ দেয়াল ভাংতে হবে।
তিনি বলেন, এমন দেশে আমরা বাস করি যেখানে নির্বাচন হবে কি না তার জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে। অথচ প্রতিনিয়ত সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সিকিম-ভুটান নয়। পাকিস্তানকে মানিনি, ভারতকেও মানব না।
প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন বলেন, প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার চেহারাই পাল্টে দিয়েছে। আগে নির্বাচনের দিন জাল ভোট দেয়া হলেও এখন আগের রাতেই জাল ভোট দেয়া হয়।
অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, হাসিনার সরকারের এই আদালতে মাহমুদুর রহমান কখনও বিচার চাইবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় তার জীবন সঙ্কটাপন্ন। তাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে অনুরোধ করব যেন তিনি আদালতে জামিন চান সেজন্য তাকে রাজি করাতে।
অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন বলেন, দেশের সবকিছুই এখন ভেজাল। মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী বন্ধুদের পুরস্কারেও ভেজাল দেয়া হয়েছে।
এমএ আজিজ বলেন, অন্যায়, অবিচারের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন মাহমুদুর রহমান। এজন্য তিনি সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়েছেন। সরকার অন্যায়ভাবে আমার দেশ বন্ধ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করেছে তাই অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।