বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘আরে আহাম্মক! লেখাপড়া জানে না। তোর বাপ কি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিল? তোর বাপ তো আমাদেরও স্যার স্যার বলতে বলতে মুখ দিয়ে লালা বের করে ফেলত।’ গতকাল জাতীয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি তারেক রহমান লন্ডনে দুটো অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলে বক্তব্য দেন। তারেক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে এসেছিলেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বেয়াদবির একটা সীমা থাকা দরকার। বিমানবন্দরে ভুট্টো তাকে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন, অ্যাজ এ প্রেসিডেন্ট অব বাংলাদেশ।… ওরা তো ইতিহাস জানে না।’ তোফায়েল ইতিহাস জানতে তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে প্রকাশিত বইগুলো পড়ার আহ্বান জানান।
ক্ষমতাসীন সরকারের এ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আইএসআইয়ের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারেক জিয়া এসব কথা বলছেন। পাকিস্তান একটা অকার্যকর রাষ্ট্র। তারা বাংলাদেশকেও অকার্যকর করতে চায়। তিনি বলেন, ‘আমরা কি ৭০-এ জিয়াকে দেখেছিলাম? ২৫ মার্চ দেখেছিলাম? ১৯ এপ্রিল আমিসহ পাঁচজনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। জিয়ার নামে কোনো মামলা হয়েছিল?’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাস দেড়েক আগের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন তোফায়েল। তিনি বলেন, ‘জিয়া আমাকে ফোন করলেন। আমি তাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে গেলাম। সে সময় তাকে বিদেশে পাঠানোর কথা ছিল। জিয়া কোরআন শরিফ ছুঁয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে-পায়ে ধরেন। দেড় মাস পরই বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন।’
তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘যার নামে গোটাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ পরিচিত হয়, ওরা তাকে ছোট করতে চায়। ওরা ইতিহাসের পাতায় থাকবে না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবেন।’
তোফায়েল আহমেদ অনতিবিলম্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার শেষ করার অনুরোধ জানান। গণমাধ্যমগুলোয় ফলাও করে তারেক রহমানের ভিডিও প্রচারেরও সমালোচনা করেন তোফায়েল। তিনি বলেন, ‘একটা ফিউজিটিভ। তার বক্তব্য দেখি। কি শান-শওকত। এত টাকা পায় কোত্থেকে।’