ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজধানীর নীলক্ষেতের বই ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ শিক্ষার্থীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিত্সা নিচ্ছেন বলে জানা যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাবির জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগ সমর্থিত এক শিক্ষার্থী আবু সাইদ নীলক্ষেতের ইসলামিয়া সুপার মার্কেটে বই কিনতে যায়। এ সময় তার সঙ্গে এক বই ব্যবসায়ীর তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। ব্যবসায়ীরা আবু সাইদসহ কয়েকজন ছাত্রকে মার্কেটে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে জহুরুল ইসলাম এবং এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীরা ইসলামিয়া মার্কেটে গেলে তাদের সঙ্গে বই ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডা হয়। তখন ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইসলামিয়া মার্কেটসহ আশেপাশের অন্য মার্কেটের বই ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদের এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বই ব্যবসায়ীদের হামলায় আহতদের মধ্যে ৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলো আবু সাইদ, শাওন, সোহান, সাব্বির হোসেন, শিমুল, শাহাদাত ও ক্যান্টিন কর্মচারী রুবেল। হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রথমে ৫ জন, পরে ৮ জন এরপর আরও ৭ জনকে হাসপাতালে আনা হয়।