অনেকদিন পর দর্শকের কোলাহলে মুখরিত ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। মধুমতি ব্যাংক স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে নিজ নিজ দলকে সমর্থন দিতেই মূলত স্টেডিয়ামে এসেছে তারা। ফাইনালের এই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফেরার সুযোগ পেয়েছে মোহামেডান সমর্থকরা। কারণ ট্রাইব্রেকারে সকার ক্লাব ফেনীকে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড।
গতকাল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিয়েছে মোহামেডান ও সকার ক্লাব ফেনীর ফুটবলারররা। শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে খেলা। তবে নির্ধারিত সময়ে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। এমনকি অতিরিক্ত সময়েও খেলা থাকে গোল শূন্য। শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে।
ট্রাইব্রেকারে উভয় দলই ৫টি করে শট নেয়ার সুযোগ পায়। প্রথমেই মোহামেডানকে এগিয়ে দেন গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী টিটু। ফেনীর পক্ষে ট্রাইব্রেকারের প্রথম শট নেন কাব্বা জোবে।
কিন্তু তার জোরালো শট দুর্দান্ত দক্ষতায় আটকে দেন টিটু। ট্রাইব্রেকারে মোহামেডানের পক্ষে গোল করেন অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি, ডেমিয়েন, হাবিবুর রহমান সোহাগ, জঙ্গো ওসেনিন ও উবম হেনরী। অপরদিকে সকার ক্লাব ফেনীর পক্ষে গোল করেন মেথ্যু মেনডি, আবদুল্লাহ আল মামুন, চৌকা চ্যার্লস ও আজমল হোসেন বিদ্যুত্। গোল করতে ব্যর্থ হন কাব্বা জোবে। শেষ বলে মোহামেডানের হেনরী সকার ক্লাবের গোলরক্ষক নেহালকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়ালে শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে উঠে সাদাকালো শিবির।
ম্যাচ শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার। টুর্নামেন্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মোহামেডানের জঙ্গো ওসেনি, ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন তিন জন এরা হলেন মোহামেডানের জাহিদ হাসান এমিলি, মুক্তিযোদ্ধার সানডে সিজুবা এবং শেখ জামালের সনি নর্দে। মোস্ট ভেল্যুয়েবল প্লেয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সকার ক্লাব ফেনীর গোলরক্ষক নেহাল।