DMCA.com Protection Status
title="৭

বাংলাদেশের নতুন নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা-বিজেপি সমঝোতা !

usa_flag_imagesdownload (33)বাংলাদেশে নতুন এবং আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে কংগ্রেসের আপত্তি থাকলেও বিজেপি চাইছে আগাম নির্বাচন  হোক।  আগামী দিনে দিল্লীর মসনদের অধিকারী হতে যাচ্ছে  বিজেপি, এটা অনেকটা নিশ্চিত। আর বিজেপির প্রধান মোদিই হতে যাচ্ছেন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।  ইতোমধ্যে তিনি ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকে সমর্থন এবং সিগন্যালও পেয়েছেন। বিশ্বের ক্ষমতাধর শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও টেনে নিয়েছে মোদিকেই। তার সঙ্গে সমঝোতাও করেছে সম্পর্ক উন্নয়ন, বাণিজ্যসহ বাংলাদেশের ব্যাপারে।

বিশ্বস্ত সূত্রে প্রকাশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্র চায় সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। বিএনপির অংশগ্রহণে এই নির্বাচনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘ। বর্তমানে এসব শক্তি সেভাবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সহায়তা করছে না। বরং তারা এখনো আশাবাদী, বাংলাদেশে আগাম নির্বাচন করতে সক্ষম হবে। তবে বিএনপি সেটা কতটুকু এগিয়ে নিতে পারবে, সে ব্যাপারে তারা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। কারণ সরকারের কৌশলের কাছে বিএনপি বারবার মার খাচ্ছে।

তবে ভারতের নির্বাচনের ফল না দেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপ বা চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নেবে না বলেই মনে হচ্ছে। শনিবার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এক অনুষ্ঠানে সরকারকে সময়মতো জবাব দেয়ার কথা বলেছেন ৷ তিনি সবাইকে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন৷ তবে একই দিন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, খালেদা জিয়া না শোধরালে তাকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে৷ অর্থাৎ বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলায় সরকারের চিন্তা ও প্রস্তুতিও রয়েছে। যদিও দেখা যাচ্ছে  মাঠের রাজনীতি আর মাঠে নেই, আছে হুমকি আর পাল্টা হুমকিতে ৷ মাঠের রাজনীতি ঠাঁই পেয়েছে টেলিভিশনের টক’শো আর মঞ্চ কিংবা বিবৃতিতে।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা বলে বর্তমান সরকার ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেছে। তখন এই সংবিধান রক্ষার নির্বাচন এর পর দ্রুততম সময়ে নতুন নির্বাচন করার কথা বললেও এখন আর ও পথে যাচ্ছে না সরকার। সরকারের ইচ্ছা ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করার। তবে পশ্চিমা দেশগুলো বলছে নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহণে অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাইছেন তারা। তবে ভারত গণতান্ত্রিক দেশ হলেও বাংলাদেশের বর্তমান সরকার বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও একতরফা একটি নির্বাচনের আয়োজন করার পরও সরকারের প্রতি  দেশটি অব্যাহত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতে নির্বাচনের পর দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে আমূল কোনো পরিবর্তন না হলেও অন্তত গ্রহণযোগ্য একটি আগাম নির্বাচন চাইবে নতুন সরকার।

অবশ্য ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ বলেছেন, নির্বাচনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না।

 

 

শনিবার ঢাকায় শ্রমিক দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সরকারকে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে৷ বেশি দেরি করলে, জুলুম-নির্যাতন বাড়ালে এর পরিণতির দায় সরকারকেই নিতে হবে৷ সময়মতো আন্দোলন ও সরকারের অত্যাচারের জবাব দেয়া হবে৷

সময়মতো আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘যারা যাই মনে করুক, যখন মনে করব আন্দোলনের সময় হয়েছে, আমরা প্রস্তুত , তখন আন্দোলন করব৷ কারও কথায় আমরা চলি না৷

এদিকে, বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, খালেদা জিয়া এখনো শোধরাননি৷ বৈধ সরকারকে অবৈধ বলছেন৷ জঙ্গিবাদীদের সঙ্গও ত্যাগ করেননি৷ আপনি যদি এই পথ পরিহার না করেন তাহলে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন৷

স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে সংলাপ ও সমঝোতার পথে সরকার কিংবা বিরোধীদল আগাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের ভয় রাজনৈতিক সহিংসতায় তাদের প্রাণ ও সম্পদহানি হবে। এজন্য বেশীরভাগ জনগন মনে করেন আন্তর্জাতিক চাপে বাধ্য হয়ে সরকার নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানে সচেষ্ট হবে এবং তার ফলে  দাবী আদায়ে বিরোধী দলকে রক্তক্ষয়ী কোন আন্দোলন আর করতে হবে না।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!