e:18px;”>উপজেলা নির্বাচনের মাঝপথে রহস্যজনক এবং অভূতপূর্ব ভাবে হঠাৎ করে বিদেশে ছুটিতে চলে যাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ প্রায় দেড় মাস পর মঙ্গলবার অফিস করছেন।নির্বাচন কমিশনে কাজী রকিবের প্রত্যাবর্তনে সেখানে বেড়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের আনাগোনাও। ঝিমিয়ে থাকা নির্বাচন কমিশন যেন আবার ফিরে পাচ্ছে সেই পুরোনো প্রাণ।
সিইসির একান্ত সচিব একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় মাসের অবকাশ শেষে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্যার অফিসে আসেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনি অফিসে থাকতে পারেন।’
ছুটি শেষে কাজী রকিবউদ্দীন ফিরে আসায় নির্বাচন কমিশনে সকলের মধ্যে এক ধরণের প্রাণচঞ্চলতা, আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে বলেও জানান তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এতদিন আমরা সৎমায়ের সংসারে ছিলাম। এখন আমরা আপন সংসার ফিরে পেয়েছি।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন কাজী রকিব।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ ‘কমিশনকে দুই লাইনের একটি চিঠি লিখে’ ছুটিতে যান সিইসি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সেসময় বলা হয়েছিল- সিইসি চিঠিতে লিখেছেন, ৩ মার্চ থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন। সেখান থেকে না ফেরা পর্যন্ত আবদুল মোবারক সিইসির দায়িত্ব পালন করবেন।’যদিও সংবিধান অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত সিইসি নামক কোন পদ না থাকায় এব্যাপারে যথেষ্ গুন্জনের সৃষ্টি হয় সবার মাঝে।
সিইসি ছুটিতে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘সিইসি ক্লান্ত। তাই তিনি ছুটিতে আছেন।’ এরপর গুঞ্জন ওঠে কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ আর দায়িত্বে থাকছেন না। তিনি আর দেশে ফিরবেন না বলেও মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনের অনেক কর্মকর্তা।
রকিবউদ্দীন ছুটিতে থাকা অবস্থায় তার একান্ত সচিব মাজহারুল ইসলামকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এরপর গত ২ এপ্রিল দৈনিক প্রথম বাংলাদেশের কাছে তথ্য আসে যে, ১৪ এপ্রিল দেশ ফরছেন সিইসি।
সোমবার ভোরে (১৪ এপ্রিল) টার্কিজ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে বাংলাদেশ পৌঁছান কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।