বাংলাদেশে পাকিস্তানের আইএসআই এবং ভারতের 'র'এর অপারেটরগন ছদ্দবেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বলে বদ্ধমূল ধারনা প্রচলিত থাকলেও এভাবে প্রাকাশ্যে 'র'এর কার্যকলাপ প্রকাশিত হলো এই প্রথম।আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংস্লিষ্ট দেশের পুলিশ এবং আইন সেদেশের মাটিতে আটককৃত কোন বিদেশীর উপর প্রযোজ্য হয় এবং যথাযথ নিয়মপালন করে বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকা সাপেক্ষে বন্দি হস্তান্তর করতে হয়।
এবার প্রচলিত রীতিনীতি পাল্টে ভারতীয় গোয়েন্দাসংস্থা 'র' প্রাকাশ্য দিবালোকে আত্মপ্রকাশ করলো।
ঢাকা থেকে ওয়াক্কাস নামে পাকিস্তানী পাসপোর্ট ধারী একজনকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। ‘র’ দাবি করেছে, ওই লোক বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকা ইন্ডিয়ান মুজাহিদ (আইএম)-এর কর্মী। টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের অনলাইনে গতকাল এ খবর প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত আইএম’র অন্যতম সদস্য ওয়াক্কাস বাংলাদেশে লুকিয়ে আছে বলে আগে থেকেই ধারণা করে আসছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির সদস্যরা। তবে ওয়াক্কাসের সঠিক অবস্থানের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাটির কাছে ছিল না।
পত্রিকাটি জানায়, পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ওয়াক্কাসকে তাদের দেশের পাসপোর্ট দিয়ে নেপাল হয়ে পাকিস্তানে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। সবকিছু ঠিক থাকলেও সামান্য ভুলের কারণে ‘র’ তাকে ধরে ফেলে।
খবরে আরও বলা হয়, ওয়াক্কাসকে একটি পাসপোটের্র ব্যবস্থা করে দিয়েছিল আইএসআই। তিনি বিমানবন্দরেও গিয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশের অভিবাসন কর্মকর্তারা দেখতে পান যে পাসপোর্টে এন্ট্রি স্ট্যাম্প নেই। বাংলাদেশী কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নেয়। এই বিষয়টি এক ‘র’ কর্মকর্তার নজরে পড়ে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার স্মার্টফোনের সাহায্যে ছবিসহ খবরটি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান।
‘র’ কর্মকর্তারা ঢাকা বিমানবন্দরে ৬ ফুট লম্বা লোকটির ছবি দেখে উল্লসিত হয়ে ওঠেন। পত্রিকাটি জানায়, এরপর ‘র’ কোনো প্রমাণ না রেখেই তাকে ভারতে নিয়ে যায়। তবে কিভাবে তারা কাজটি করল তা পত্রিকাটি জানায়নি।
বাংলাদেশে পাকিস্তানের আইএসআই এবং ভারতের 'র'এর অপারেটরগন ছদ্দবেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে বলে বদ্ধমূল ধারনা প্রচলিত হলেও এভাবে প্রাকাশ্যে 'র'এর কার্যকলাপ প্রকাশিত হলো এই প্রথম।আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সংস্লিষ্ট দেশের পুলিশ এবং আইন সেদেশের মাটিতে আটককৃত কোন বিদেশীর উপর প্রযোজ্য হয় এবং যথাযথ নিয়মপালন করে বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকা সাপেক্ষে বন্দি হস্তান্তর করতে হয়।