ছয় পরাশক্তির সঙ্গে কৃত চুক্তি অনুযায়ী ইরান ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পারমাণবিক গবেষণা সীমিত রেখেছে, ঝুঁকিপূর্ণ স্টকপাইলগুলোর অর্ধেক ফেরৎ দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ১৫ এপ্রিল, পূর্বে স্থগিত অনুদান-এর একটি অংশ পাওয়ার কথা ছিল, যদিও এখনও তা পায়নি। তবে শিগগিরই পাওয়ার আশা করছে দেশটি।
পারমাণবিক গবেষণার ওপর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশ আসার পর ইরানের প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক অনুদান আটকে যায়। পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে কৃত চুক্তি সঠিকভাব মেনে চললে ৬ মাসে মোট ৮ কিস্তিতে সে অনুদানটি গ্রহণ করতে পারবে ইরান, এমন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী থেকে চুক্তিটি কার্যকর করা হয়। এপ্রিলের ১৫ তারিখ ঐ বিপুল অনুদানের ৫ কিস্তি গ্রহণ করার কথা ছিল।
ইরানের বর্তমান রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি জানান, ইরানসহ পরাশক্তি দেশগুলোকে এ চুক্তিকে ঘিরে খুব কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, তবে সবকিছুই ভালোভাবে এগিয়ে চলেছে। এ গতিতে চলতে থাকলে আগামী জুলাই নাগাদ ইরান বৈদেশিক অনুদানের সবটুকু গ্রহণ করতে সমর্থ হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারই ধারাবাহিকতায় বিদেশে তেল রপ্তানীসহ অপরাপর দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ফিরে আসবে, যা ইরান চাইছে।
এ কারণে চুক্তি সঠিকভাবে মেনে চলার দিকেই এখন অধিক মনোযোগ দিয়েছে দেশটি, যাতে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে এই মর্মে আস্থা অর্জন করা যায় যে: ইরান কোন পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরিকল্পনা আদৌ করছে না।