গত বুধবার ৪৭০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে একটি ফেরি ডুবে গেছে। দূর্ঘটনা পরবর্তীতে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও প্রায় তিনশো মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। অনেককে ইতোমধ্যেই উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কোরীয় উদ্ধারকারী দল।
ফেরির ভেতর আটকে পড়া অনেকেই তাদের নিকটজনের কাছে মোবাইলে মেসেজ পাঠাচ্ছে তাদের দুর্দশার কথা বলে। তাদের কেউ কেউ তাদের অবস্থান জানানোর চেষ্টা করছেন। আবার কেউবা প্রিয়জনকে তার জীবনের শেষ কথাটা মেসেজ করে জানাচ্ছে।
তেমিন এক দক্ষিণ কোরীয় ছাত্র হলেন শিন ইয়ং জিন। পানিতে ডুবে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সে তার সবচেয়ে আপনজন মাকে ‘এটাই হয়তো আমার শেষ সুযোগ তোমাকে বলার যে আমি তোমাকে ভালোবাসি’ এই মেসেজটি পাঠায়। মেসেজ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাও ফিরতি মেসেজ ‘আমিও তোমাকে ভালোবাসি বাবা’ পাঠান।
অন্য আরেক ছাত্র তার বাবাকে মেসেজ দিয়ে তাদের অবস্থান জানায়। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় আটকে পড়া যাত্রীদের আত্মীয়স্বজনরা কেউই ঘটনাস্থলে যেতে পারছেন না।
কোরীয় হেরাল্ডের মতে, ফেরিডুবির পর এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মূলত স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর ইনচিওন থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন দ্বীপ জেজুর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে ফেরিটি। এরপর মাত্র ২০ কিলোমিটার যাওযার পরেই ফেরিটি ডুবে যায়। ঠিক কী কারণে ফেরিটি ডুবে গেছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে উদ্ধারকৃতরা জানিয়েছেন, ফেরিটি ডুবতে শুরু করার আগে তারা একটি শব্দ শুনতে পান।