ধর্ষণের শিকার নারীর স্বাস্থ্য ও বয়স নির্ধারণের পরীক্ষায় পুরুষ চিকিৎসকদের অংশ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার এ সংক্রান্ত রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
নির্দেশ অনুসারে আদালতে হাজির হলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হককে এ কথা বলেন আদালত। একই সঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধর্ষিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নারী চিকিৎসক, নার্স ও এমএলএসএস নিয়োগ বিষয়ে আদালতের আদেশ কেন মানা হয়নি- তা জানতে চেয়ে গত ২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে তলব করেন আদালত।
এ আদেশের ভিত্তিতে রবিবার আদালতে হাজির হয়ে দুঃখ প্রকাশ করার পরে তাকে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।
২০১৩ সালের এপ্রিলে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঢাকা মেডিকেলে ফরেনসিক বিভাগ, নারীর জন্য এ কেমন ব্যবস্থা?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ডিএমসি) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ধর্ষণের শিকার নারীর শারীরিক পরীক্ষা করেন পুরুষ চিকিৎসক। ওই চিকিৎসককে সহায়তা করেন পুরুষ ওয়ার্ড বয়। দেশের সবচেয়ে গৌরবময় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের প্রমাণপত্র নিতে এসে নারীকে চরম লজ্জা আর অপমানের মুখোমুখি হতে হয় প্রায়ই।
এ প্রতিবেদনটি একই বছরের ১৬ এপ্রিল আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিএম ইলিয়াস কচি। এরপর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ঢাকা মেডিকেলের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নারী চিকিৎসক, নার্স ও এমএলএসএস নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন এবং একটি রুল জারি করেন।