বিভক্ত গণজাগরণ মঞ্চের দুপক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে শুক্রবার। ডা. ইমরান এইচ সরকার ও কামাল পাশা চৌধুরীর নেতৃত্বে দুপক্ষই শুক্রবার বিকালে শাহবাগ মোড়ে সমাবেশের ডাক দেয়। দুপক্ষই শাহবাগ মোড়ে কাছাকাছি অবস্থান নেয়। কিন্তু কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
শেষ পর্যন্ত ইমরানের সমর্থকরা সমাবেশ করলেও কামাল পাশার সমর্থকরা সমাবেশ করেননি। তারা বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করে।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ইমরানের নেতৃত্বে মঞ্চেরা কর্মীরা জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সংগঠনের ব্যানার নিয়ে যোগ দেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের একাংশ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা মঞ্চের সমাবেশে ছিলেন।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জাতীয় জাদুঘরের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবিতে এই সমাবেশ করেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
অন্যদিকে মঞ্চের কর্মী হাসিবি শহীদি শিশিরের ওপর হামলার প্রতিবাদে একই সময়ে একই স্থানে সমাবেশ ডাকেন কামাল পাশা চৌধুরী। কামাল পাশার নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেলের তাঁবুতে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে মিছিল বের করেন তারা।
সম্প্রতি শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির পর ইমরানকে মঞ্চের মুখপাত্রের দায়িত্ব থেকে ‘অব্যাহতি’ দেয়ার ঘোষণা দেন মুক্তিযুদ্ধ ছাত্র কমান্ডের সভাপতি কামাল পাশা। এরপর গত মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত হন কামাল পাশার অনুসারী ও মঞ্চের কর্মী শিশির। হামলার জন্য গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে দায়ী করা হলেও তিনি এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ নাকচ করেছেন।