একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে সামনে রেখে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দুর্ধর্ষ ক্যাডাররা বড় ধরনের নাশকতার ছক এঁকেছে।
সংগঠনের হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রস্তুত সুইসাইডাল স্কোয়াড। ৫ই জানুয়ারীর একদলীয় নির্বাচনের পর অবিশ্বাস্যভাবে আদালত থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছে সহস্রাধিক শিবির সদস্য। সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা জামায়াত-শিবিরের এই নাশকতার ছক সম্পর্কে সম্প্রতি সরকারকে অবহিত করেছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গত সপ্তাহে বিশেষ বৈঠক করেছেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল জামায়াত-শিবিরের আবার সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রসঙ্গ। বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জামায়াত-শিবির নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাদের ধরতে পুলিশ-র্যাবকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুইসাইডাল স্কোয়াড আত্মপ্রকাশের মুহূর্তে নিমিষেই দমন করা হবে।’ গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত মতিউর রহমান নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় যেকোনো দিন ঘোষণা হওয়ার কথা।
দুটি রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির আগের চেয়েও বেপরোয়া হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। গতকাল সোমবার তারা দেশের কয়েকটি স্থানে আচমকা মিছিল বের করে বিক্ষোভ করে এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনীতি।
গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে এক সপ্তাহ আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকে শিবির ক্যাডারদের গ্রেপ্তার ও নাশকতা প্রতিরোধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- সারা দেশের থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি, মুক্ত হওয়া ক্যাডারদের তালিকা দ্রুত সম্পন্ন করা, ফাঁসির রায়ের আগের দিন থেকে শুরু করে অন্তত ১৫ দিন পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা বলবৎ রাখা, সুইসাইডাল স্কোয়াড চিহ্নিত করা, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা ইত্যাদি