চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুস ছালামকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে শ্রমিক লীগ। আলটিমেটামের সময়ের মধ্যে আবদুস ছালামকে অপসারণ করা না হলে লালদীঘির মাঠে মহাসমাবেশ করে বৃহত্তর চট্টগ্রামে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে শ্রমিক লীগ নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্রমিক লীগের উদ্যোগে সিডিএ ভবন ঘেরাওয়ের সময় নেতারা এ কর্মসূচির কথা বলেন। সিডিএ চেয়াম্যানের পদ থেকে আবদুস ছালামের অপসারণ, সিডিএ কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের চাকরিচ্যুতি এবং ১০ নেতার বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে শ্রমিক লীগ ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে শ্রমিক লীগ নেতারা আরো বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের নামে আবদুস ছালাম হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।
তার অযোগ্যতার কারণে লিংক রোড প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা যায়নি। নিজের অপকর্মের জন্য লজ্জিত না হয়ে এখন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তিনি তৎপর হয়ে উঠেছেন। এরই অংশ হিসেবে প্লট বরাদ্দ নীতিমালা লঙ্ঘন করে মন্ত্রী-এমপি ও তার আত্মীয়-স্বজনকে ৬০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। শ্রমিক লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, তিনি কখনোই আওয়ামী লীগ করেননি। আওয়ামী লীগের নামে সিডিএকে জামায়াত-শিবির কর্মীদের ঘাঁটিতে পরিণত করেছেন।
চান্দগাঁও এলাকায় ৩ দশমিক ৩০ কাঠা খেলার মাঠের জায়গা ১ টাকা টোকেন মূল্যে জামায়াত-শিবির নেতাদের একটি সমিতির নামে বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি। শ্রমিক লীগ নেতাদের দাবি, দুর্নীতির মাধ্যমে অযোগ্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ায় বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর দায় ছালামকে নিতে হবে।
ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আবদুল আহাদ, নগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহাবুবুল হক চৌধুরী এটলী, সিডিএ কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ওয়াসা কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সহসভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, আমিন জুট মিলস্ ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি মহব্বত আলী, চসিক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম, নগর শ্রমিক লীগ নেতা আবু হোসেন আবু প্রমুখ।