পোশাক শিল্পখাতের সবচেয়ে ভয়াবহ দূর্ঘটনা সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসের এক বছর পূরণ হতে চলেছে। এরইমধ্যে মানুষের কাছে ধূসর হয়ে গেছে রানা প্লাজার ধ্বসের ভয়াবহ স্মৃতি। পোশাক খাত চলছে আগের মতই। সেই মা আজো চোখের পানি ফেলেন, যার কন্যা-পুত্ররা হারিয়ে গেছে রানা প্লাজার কংক্রিটের নিচে। রানা প্লাজা থেকে বেঁচে আসা মানুষদের আজো সেই স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায়। মৃত্যুকূপ থেকে বেঁচে ফেরা সেই সেব মানুষদের জীবন সংগ্রামের চিত্র নিয়ে দৈনিক প্রথম বাংলাদেশের বিশেষ ফটোফিচারঃ
লাবনী আক্তার, রানা প্লাজা থেকে বেঁচে ফিরলেও হারিয়েছেন হাত। ব্র্যাকের দেওয়া কৃত্রিম হাত নিয়ে গেছেন গ্রামে। বর্তমানে কর্ম করার কোন ক্ষমতাই নেই লাবনীর
মোহাম্মাদ মিলন রানা প্লাজা থেকে বেঁচে ফিরলেও হারিয়েছেন হাঁটার ক্ষমতা। বর্তমানে ঘরে বসেই দিন কাটে তার
খাজা মিয়া আজো রানা প্লাজয় হারিয়ে যাওয়া কন্যা খায়রুন্নাহারকে খুঁজে ফেরেন। অলংকার, ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করেই জীবন কাটে খাজা মিয়ার পরিবারের
খাযরনন্নাহারের বড় বোন রহিমা আক্তার। রানা প্লাজা থেকে বেঁচে ফিরলেও তিনি এখন মানসিক বিকারগ্রস্থ….
নিজের শরীরে রানা প্লাজার ক্ষত বহন করে চলছেন শিখা। রানা প্লাজা থেকে জীবিত উদ্ধার হলেও কাজ করার ক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি।
পাশেই থাকার কথা ছিল তার, কিন্তু তিনি আজ কেবলই ছবি আর স্মৃতি। রানা প্লাজায় নিহত স্ত্রী আসমাকে হারিয়েছেন তিনি। তিন কন্যাকে নিয়ে কষ্টের জীবন আলতাফ হোসেনের
পাঁচ মাস বয়সী কাউসার কখনোই তার বাবাকে দেখতে পাবে না। রানা প্লাজায় নিহত জাফরের স্ত্রী আশাকে বাড়িছাড়া করেছে শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা। শূ্ণ্যতাকে বুকে রেখে দিন কাটে আশার
থেমে নেই জীবন সংগ্রাম। আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে প্রধান ভূমিকা পালনকারী পোশাক খাত…