মজার কৌতুক
সুত্র : সংগৃহীত
ক্ষুব্ধ ট্রাফিক পুলিশ
ক্ষুব্ধ ট্রাফিক পুলিশ : ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভারকে বললেন : তোমাকে হাত দেখালাম তুমি গাড়ি থামালেনা কেন ?
ড্রাইভার : আমি ভেবেছিলাম স্যার আপনি বুঝি আমাকে টা টা করছেন ।
বন্ধু
১ম বন্ধু : ট্রেন মিস করা আমার একটা অভ্যাসে দাড়িয়ে গেছে । কি করে ঠিক মতো ট্রেন ধারা য়ায় বলতো ।
২য় বন্ধু : সব সময় আগের ট্রেনটা মিস করবি । তাহলে দেখবি পরের ট্রেনটা আর কিছুতেই মিস হচ্ছেনা ।
উকিল
উকিল : আপনার নাম?
সাক্ষী : নামতো স্যার আপনার জানা আছে । একটু আগেই তো আমাকে ডাকা হলো । সত্যবাদী রায় ।
উকিল : পেশা?
সাক্ষী : সদা সত্য কথা বলিব ।
উকিল : আমি পেশার কথা বলছি ।
সাক্ষী : তা আমার নাম ও পেশার মধ্যে লুকিয়ে আছে হুজুর । সাক্ষী দেওয়াই হলো আমার পেশা ।
সূর্য
মেয়ের আকা ছবিগুলো দেখিয়ে গর্বিত পিতা তার বন্ধুকে বললেন আমার মেয়ে বিলেত থেকে এই সব শিখে এসেছে। দেখে বলতো তোমার কেমন লাগছে।
বন্ধু বললেন : তাই তো বলি। ওই সূর্যের ছবিটা দেখে আমিও ভেবেছিলাম, এরকম সূর্য তো আমাদের দেশে কখন হয়নি ।
ক্রিকেট নিয়ে কৌতুক-০২
সুত্র : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
১. বলটা এদিকে পড়েনি
ব্যাটসম্যান ছক্কা পেটাবার পর বলটা দর্শকদের ভিতরে গিয়ে পড়েছিল। একজন ফিল্ডার আস্তে আস্তে দৌড়ে গেল সেদিকে। বলটা ফেরত চাইল। কিন্তু বলটা কিছুতেই খুঁজে পাওয়া গেল না। দর্শকদের ভেতর বসে ছিল এক কমবয়েসী ছোকরা। সে খুব নিরীহ মুখে জানাল, আমার মনে হয়, বলটা বোধহয় এদিকে পড়েনি। তবে আমি বাড়ি থেকে একটা বল নিয়ে এসেছি, আপনার খুব প্রয়োজন হলে একশ টাকা দিয়ে সেটা কিনতে পারেন। নেবেন?
২. ট্রেনটা ধরতে পারবে তো
এক স্লিপের ফিল্ডার সারাদিনের খেলায় কমসে কম আটটা ক্যাচের বল হাত থেকে ফেলে দিয়েছে। সেই খেলায় হেরে যাবার পর ম্লান মুখে সবাই বসে আছে, এমন সময় সেই ফিল্ডার ক্যাপ্টেনের কাছে ছুটি চাইতে এল। বলল, আমাকে এখনই ছুটি দিতে হবে, সন্ধ্যা ছটার ট্রেনে বাড়ি যাব, টিকেট কেটে রেখেছি!
ক্যাপ্টেন বিরস বদনে তার দিকে তাকিয়ে বলল, ছুটি দিতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু ট্রেনটা ধরতে পারবে তো?
৩. আনকোরা আম্পায়ার
এক গ্রামের দাওয়াতে সেখানে বড় বড় দুই দল ক্রিকেট খেলতে গেল। দেখা গেল, সবই আছে, শুধু নেই একজন আম্পায়ার। সেই ভিড়ের গ্রাম্য লোকজনদের ভেতর থেকেই একজন আনকোরা আম্পায়ার খুঁজে বের করা হল। তাকে সাদা সার্ট-প্যান্ট, কোট পরানো হল। তারপর সে এক দলের ক্যাপ্টেনের কাছে এল, বলল, এবার আমাকে একটু খেলার নিয়মকানুন শিখিয়ে দিন!
ক্যাপ্টেন বলল, নিয়মকানুন! খুবই সহজ! এখন আমাদের দল বল করছে। আমাদের ফিল্ডাররা যখন সবাই একসঙ্গে ‘হাউজ দ্যাট’ বলে চেঁচিয়ে উঠবে, তখন তুমি তোমার এক আঙ্গুল উঁচিয়ে হাতটা তুলে ধরবে। আপাতত এটুকুই শিখে রাখ, আমরা যখন ব্যাটিং করতে নামব, তখন বাকিটুকু শিখিয়ে দেব!
৪. খেলার হাইলাইটস দেখতে
মোকলেস বহু সাধ-সাধনা করে এসেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা দেখতে।
মোকলেসকে অনেকক্ষণ ধরে স্টেডিয়ামে বসে থাকা দেখে এক নিরাপত্তাকর্মী বললেন, ‘কী ভাই, ম্যাচ তো অনেক আগেই শেষ হয়েছে। আপনি খালি খালি স্টেডিয়ামে বসে আছেন কেন?’
মোকলেস বলল, ‘আমি তো খেলার হাইলাইটস দেখতে বসে আছি।’
ক্রিকেট নিয়ে কৌতুক
সুত্র : সংগৃহীত
১. গ্যালারিতে গিয়ে বসলেন আম্পায়ার
এক আম্পায়ারের কাণ্ড-কীর্তি মোটেই পছন্দ হচ্ছিল না দর্শকদের। পুরো গ্যালারি থেকেই দুয়োধ্বনি ভেসে আসছিল, ‘এই ব্যাটা আম্পায়ার… ভুয়া… বের হ… আহা, নিশ্চিত আউটটা দিল না…।’
একপর্যায়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে গ্যালারিতে গিয়ে বসলেন আম্পায়ার। পাশ থেকে এক দর্শক বললেন, ‘কী ব্যাপার, আপনিও দর্শক হয়ে গেলেন নাকি?’
আম্পায়ার : না মানে… আপনাদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে মনে হলো, এখান থেকেই বোধ হয় খেলাটা ভালো দেখা যায়!
২. মনোযোগ নেই
খেলার মাঝপথে এক ফিল্ডারকে বললেন আম্পায়ার, ‘অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ করছি। এখন আর না বলে পারছি না। তুমি ব্যাটসম্যানকে ভেংচি কেটে বিরক্ত করছ কেন?’
ফিল্ডার : আমিও অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ করছি। এখন আর না বলে পারছি না। ক্রিজে কী হচ্ছে, সেদিকে আপনার একেবারেই মনোযোগ নেই!
৩. আউট হলাম কী করে
ব্যাটসম্যানের কবজির একটু ওপরে বল লেগে ক্যাচ উঠল। ফিল্ডার বল ধরতেই আম্পায়ার এক আঙুল তুলে ঘোষণা দিলেন, আউট!
ব্যাটসম্যান : সে কী! বল তো আমার হাতে লাগেনি! আউট হলাম কী করে?
আম্পায়ার : আগামীকালের খেলার খবর পাতা দেখে নিয়ো!
৪. বাতাসে উড়ে বেল পড়ে গেছে
বোল্ড!
ব্যাটসম্যান : সে কী! আমি এ আউট মানি না। বল তো উইকেট স্পর্শই করেনি। সম্ভবত বাতাসে উড়ে বেল পড়ে গেছে।
আম্পায়ার : তোমার বাতাসকে বলো, তোমাকেও যেন উড়িয়ে মাঠের বাইরে নিয়ে ফেলে।
৫. রাজকার্যে মনোনিবেশ
রাজা নেমেছেন ক্রিকেট খেলতে। অন্য রাজ্যের এক অতিথি হলেন বোলার। বোলার বল ছুড়লেন, বল লাগল রাজার পায়ে। বোলার চিৎকার করে উঠলেন বোলার, ‘হাউজ দ্যাট!’
আম্পায়ার : জাহাঁপনা, আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে প্রাসাদের অভ্যন্তরে গিয়ে রাজকার্যে মনোনিবেশ করা আপনার জন্য একান্ত জরুরি।
রাজা : কী বলছ, ঠিক বুঝতে পারছি না। সহজ করে বলো।
আম্পায়ার : জাহাঁপনা আপনি আউট!
৬. হাঁটতে পারবে তো
চিৎকার করে এলবিডব্লিউর আবেদন করল বোলার, ‘হাউজ দ্যাট!’
এদিকে ব্যাটসম্যান তখন পায়ে বল লেগে ব্যথায় কোঁকাচ্ছে। ধীর পায়ে ব্যাটসম্যানের দিকে এগিয়ে গেলেন আম্পায়ার। বললেন, ‘হাঁটতে পারবে তো?’
ব্যাটসম্যান : হুম। রানার লাগবে না। আমি রান করতে পারব।
আম্পায়ার : রান করতে হবে না। হেঁটে হেঁটে প্যাভিলিয়নে ফিরতে পারলেই হবে। তুমি আউট।
৭. অভিনন্দন আম্পায়ারকে
এক দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী আর ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের মধ্যে কথা হচ্ছে।
ক্রীড়ামন্ত্রী : ক্রিকেট ম্যাচ জেতায় আপনাদের অভিনন্দন।
বোর্ডপ্রধান : অভিনন্দন পলকে দিন। সে আমাদের পরাজয় থেকে বাঁচিয়েছে।
ত্রীড়ামন্ত্রী : সে আমাদের ব্যাটসম্যান, নাকি বোলার?
বোর্ডপ্রধান : সে একজন আম্পায়ার!
৮. আম্পায়ারিং
ম্যাচ শেষে দলের অধিনায়ক বলছেন আম্পায়ারকে, ‘স্যার, ক্রিকেট সম্পর্কে আপনাকে আমার এমন কিছু কথা বলার আছে, যা আপনি জানেন না।’
আম্পায়ার : বলুন।
অধিনায়ক : ক্রিকেট হচ্ছে একটি খেলা। এ খেলা দুটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দলেই ১১ জন খেলোয়াড় থাকে। খেলা হয় বল আর ব্যাট দিয়ে…
৯. ছক্কার প্রতি দুর্বলতা
এক ব্যাটসম্যানকে কোনো বোলারই আউট করতে পারছিল না। অধিনায়ক বল তুলে দিল এক তরুণ বোলারের হাতে—
বোলার : চিন্তা কোরো না। আমি এই ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা কোথায়, জানি।
তরুণ বোলারের প্রথম তিন বলেই ছক্কা হাঁকাল ব্যাটসম্যান।
অধিনায়ক : হুম্ম! ওর যে ‘ছক্কা’র প্রতি দুর্বলতা আছে, তুমি তাহলে আগেই জানতে!
১০. হাতে ব্যথা
বোলারের একের পর এক আবেদন নাকচ করে দেওয়ার পর বোলার বলছে আম্পায়ারকে, ‘তুমি আমার জায়গায় থাকলে বুঝতে, কেমন লাগে।’
আম্পায়ার : আমি তোমার জায়গায় থাকলে তো বোলিংই করতে পারতাম না!
বোলার : কেন?
আম্পায়ার : আমার হাতে ব্যথা। দুই দিন ধরে হাত ওপরে তুলতে পারছি না!
একটু দেখুন না গরুটা কোথায়
সুত্র : সালেহ আহমেদ
একটু দেখুন না গরুটা কোথায়
এক লোকের গরু হারিয়ে গেছে। কোথাও সে খুঁজে পাচ্ছে না।
খুজঁতে খুজঁতে ক্লান্ত হয়ে পার্কের এক কোনায় এসে একটি বেঞ্চে বিশ্রাম করতে বসলো।
বেঞ্চের অপর পাশে একজোড়া কপোত কপোতি আলাপ আলোচনায় বিভোর।
কপোত কপোতিকে বলছে, আমি তোমার চোখে চোখ রাখলে পুরো পৃথিবীটাকেই দেখি।
এমন সময় পাশে বসে থাকা গরু হারানো লোকটি উঠে এসে বলে, আমি আমার গরুটা খুঁজে পাচ্ছি না। ভাই দয়া করে ওনার চোখে চোখ রেখে খুঁজে দেখে বলুন তো আমার গরুটা কোথায় আছে।
পেট
বায়োলজির শিক্ষক ব্যাঙের পেট কেটে ছাত্রদের কোথায় কি আছে দেখাচ্ছেন।
শিক্ষক : ধর, মানুষের পেট এভাবে কাটলে, তখন কি কি দেখবে?
ছাত্র : সবার আগে পুলিশ, তারপর জেলখানা স্যার।
চিত্র
শিক্ষক : তোকে তো ব্যাকটেরিয়ার চিত্র আঁকতে বলেছিলাম। তুই তো দিলি সাদা কাগজ। কেন?
ছাত্র : স্যার, আমি তো ব্যাকটেরিয়ার চিত্র এঁকেছি। কিন্তু আপনি তো তা খালি চোখে দেখতে পারবেন না।
আকবরের বয়স
শিক্ষক : বল, আকবরের জীবনকাল কত সাল থেকে কত সাল পর্যন্ত?
ছাত্র : পারি না স্যার। এটা বইয়ে নেই।
শিক্ষক বই খুললেন, সেখানে লেখা—আকবর (১৫৪২-১৬০৫)
ছাত্র : স্যার, আমি ভেবেছিলাম ওটা আকবরের ফোন নাম্বার।
গাধা
আলাল দুলালকে জিজ্ঞেস করছে, ‘কিরে, তুই নাকি গতকালকে সবার সামনে স্বীকার করেছিস তুই গাধা’
দুলাল বলল, ‘না, স্যার ক্লাসে এসে বললো কে কে গাধা দাড়াও?’
আলাল, ‘তারপর?’
দুলাল, ‘স্যার একা দাড়িয়ে ছিলোতো তাই ভালো দেখাচ্ছিলো না। তাই আমিও দাঁড়ালাম।’
হ-য-ব-র-ল
সুত্র : সংগৃহীত
১.
ইন্টারভিউ কক্ষে এক ব্যক্তি ইন্টারভিউ দিচ্ছে।
প্রশ্নকর্তা : তুমি ইংরেজী গ্রামারের কোন অংশ ভালো পার?
ব্যক্তি : স্যার ট্রান্সলেশন ভালো পারি।
প্রশ্নকর্তা : তাহলে বলতো ‘সে গেলো তো গেলো এমনভাবে গেলো আর ফিরে এল না’ এর ইংরেজী কি হবে?
ব্যক্তি : স্যার, হি ওয়েন্ট টু ওয়েন্ট এমনভাবে ওয়েন্ট আর ডিড নট কাম।
২.
স্বামী : এই দেখো তোমার জন্য কী সুন্দর একটা শাড়ী কিনে এনেছি।
স্ত্রী : সুন্দর না ছাই! তোমার যা রুচী! আজ পর্যন্ত যা কিছু পছন্দ করে এনেছ সবই তো পচা। আসলে তোমার রুচীই নেই।
স্বামী : তোমাকেও আমিই পছন্দ করে বিয়ে করেছিলাম ।
বাবা : খোকা আমার পাঞ্জাবির পকেট কেটেছে কেরে?
খোকা : পকেটমার বাবা।
বাবা : পকেটমার! এটা আবার কে?
খোকা : ও এক ধরনের পোকা বাবা।
৩.
বাবা : পরীক্ষায় কত পেয়েছিস?
ছেলে : মাত্র একের জন্য একশ পাই নাই।
বাবা : তাই নাকি ৯৯ পেয়েছিস বুঝি?
ছেলে : না, বাবা দুইটা শূন্য পেয়েছি।
৪.
শিক্ষক : আচ্ছা বলতো, তাজমহল কোথায় অবস্থিত?
ছাত্র : জানি না স্যার।
শিক্ষক : তাহলে বেঞ্চের উপর দাড়া।
ছাত্র : বেঞ্চের উপর দাড়ালে কি তাজমহল দেখতে পাবো স্যার।
৫.
পিতা : ওঠে পড় খোকা। দেখছ না সূর্য ওঠে যাচ্ছে, এখনো শুয়ে আছো?
ছেলে : হ্যাঁ বাবা, একটু বেশি না ঘুমালে তো সূর্যের সমান হবো না। কেননা, সূর্য তো সন্ধ্যা ৬ টায় ঘুমাতে যায়, আর ওঠে ফজরের অনেক পরে। অথচ আমাকে রাত্র এগারোটা পর্যন্ত জেগে পড়তে হয়। আবার মাঝখানে উঠে তাহাজ্জুতের নামাজ, ফজরের নামাজ ও কুরআন তিলওয়াতটাও করতে হয়।
৬.
আজিম উপন্যাস লেখাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। এর মধ্যে একদিন তার বন্ধু রনক তার খোঁজ নিতে এল।
রনক :- কিছু বিক্রি হলো এর মধ্যে।
আজিম :- হ্যাঁ, ফ্যান, ঘড়ি, আসবাবপত্র আর কিছু শার্ট।
চোখ ও কান বিষয়ক কৌতুক
সুত্র : মোকলেছ খান
১. চশমা দিয়ে পড়া
রোগী : ডাক্তার সাহেব, আপনি বলেছেন চশমা নিলে আমি পড়তে পারব।
ডাক্তার : নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সন্দেহ কি?
রোগী : তাহলে ভালোই হবে। আমিতো পড়তে জানতাম না।
২. শেষ বারের মতো বলছি
এক লোক তার স্ত্রীর ব্যাপারে বেশ চিন্তিত হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন।
লোক : ডাক্তার সাহেব আমার স্ত্রীর বোধ হয় কানে সমস্যা আছে। কারণ আমি যেই প্রশ্নই করি না কেন সে কোনো জবাব দেয় না। মনে হয় যেন শুনতেই পায় না।
ডাক্তার : দেখুন, পরীক্ষা না করেই তো আর অবস্থা বোঝা যায় না। আপনি এক কাজ করুন। আজ বাসায় যেয়ে তার থেকে অন্তত পনের হাত দুরে দাঁড়িয়ে যে কোনো একটা প্রশ্ন করবেন, সে শুনতে না পেলে আরেকটু কাছে গিয়ে আবার একই প্রশ্ন করুন। এভাবে সে না শোনা পর্যন্ত বলতে থাকুন। তারপর কাল এসে আমাকে জানিয়ে যাবেন কি অবস্থা।
ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখলেন স্ত্রী রান্নাঘরে কাজ করছে। তিনি দরজার কাছ থেকে জানতে স্ত্রীকে বললেন,
লোক : আজ রাতের খাবার কী? কিন্তু স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো জবাব পেলেন না।
তিনি রান্নাঘরের কাছে গিয়ে আবারো জানতে চাইলেন রাতে সে কী রান্না করছে। এবারও কোনো জবাব নেই। লোকটি এবার তার স্ত্রী থেকে মাত্র দু হাত দুরে দাঁড়িয়ে একই প্রশ্ন করলেন। কিন্তু তবু স্ত্রীকে কোনো জবাব না দিতে দেখে তিনি চিন্তিত হয়ে একদম তার কানের কাছে গিয়ে আবার একই প্রশ্ন করলেন। এবারে স্ত্রী ঘুরে দাঁড়িয়ে রাগী ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন।
স্ত্রী : চতুর্থ এবং শেষবারের মতো বলছি, রাতের খাবার মুরগি ও ডিম ভুনা।
৩. চোখের সমস্যা
হন্তদন্ত হয়ে ডাক্তারের চেম্বারে রোগী ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে …
ডাক্তার : এই যে মশাই, আপনার চশমার পাওয়ার বাড়াতে হবে।
রোগী : আমার চোখ পরীক্ষা না করেই আপনি প্রেসক্রিপশন করে দিলেন, ডাক্তার?
ডাক্তার : হ্যাঁ, দিলাম। দরজার বদলে জানালা দিয়ে ঢুকে পড়াতেই বুঝেছি আপনার সমস্যা আসলে কোন দিকে!
৪. দাদুর কান
দাদু গেছেন ডাক্তারের কাছে। তার কানে সমস্যা।
তিনি ডাক্তারকে বললেন, ‘বাবা, আমার কানে শুনতে পারছি না। তুমি একটু দেখে দেবে?’
ডাক্তার : আমি যা বলছি তা কি শুনতে পারছেন?
দাদু : তুমিতো কিছু গুনতে বলছো না বাবা।
ডাক্তার : না, আমি বলছি, কতটুকু শুনতে পারছেন?
দাদু : অর্ধেক শুনতে পারছি।
ডাক্তার : ঠিক আছে। আমি যা বলি তা শুনে আপনিও বলুন। বলুন, চৌষট্টি।
দাদু : বত্রিশ
ভালোবাসার কৌতুক
সুত্র : সালেকিন রাজিব
ভালোবাসার জন্ম
প্রশ্ন: ভালোবাসার জন্ম কোথায়?
উত্তর: সম্ভবত চীনে।
কারণ, চীনা জিনিসেরই কোনো গ্যারান্টি থাকে না!
সুখ
দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
১ম বন্ধু : আচ্ছা, বিয়ের পর তোরা দুজন কি সুখে আছিস?
২য় বন্ধু: অবশ্যই। প্রতি সপ্তাহেই আমরা রেস্তোরাঁয় খেতে যাই। খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ পার্কে হেঁটে বেড়াই। মনের আনন্দে গান গাই।
১ম বন্ধু : বাহ্! সপ্তাহের কোন দিনটায় যাস তোরা?
২য় বন্ধু: ও যায় বুধবার, আর আমি শনিবার।
গোপন কথা
প্রেমিকা : আজ তোমাকে একটা গোপন কথা বলব। কথাটা আরও আগেই বলা উচিত ছিল, কিন্তু বলা হয়ে ওঠেনি। জানি না, তুমি ব্যাপারটা কীভাবে নেবে। আমাকে প্রতি সপ্তাহেই একজন মানসিক রোগের চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে হয়।
প্রেমিক: আমিও তোমাকে একটা গোপন কথা বলব। আমাকে প্রতি সপ্তাহেই একজন স্কুলছাত্রী, একজন কলেজছাত্রী, একজন স্কুলশিক্ষিকা, একজন গায়িকা এবং একজন লেখিকার সঙ্গে দেখা করতে হয়!
বাসায় কে কে আছেন
প্রেমিক-প্রেমিকার কথোপকথন—
প্রেমিক : আমি মনে হয় তোমাকে বিয়েটা করতে পারব না।
প্রেমিকা: এত দিন পর এ কথা বলছ কেন? কেন, কী হয়েছে বলো তো শুনি?
প্রেমিক: না, তেমন কিছু না। আমার বাসা থেকে নিষেধ আছে।
প্রেমিকা : তা তোমার বাসায় কে কে আছেন?
প্রেমিক: বেশি না। আমার এক স্ত্রী আর তিন সন্তান।
বিয়ের আগে বাঘ
বনের ভেতর এক বাঘের বিয়ে। সেই খুশিতে বনের সব পশুই নাচ-গান শুরু করেছে।
বনের এক কোণায় একটা গাধার নাচ দেখে এক বাঁদর তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আরে গাধা ভাই, তুমি অযথা নাচছো কেন?’
গাধা রেগে বলল, ‘এই বনে আজ আমার ছোট ভাইয়ের বিয়ে। আমি নাচবো না তো নাচবেটা কে, শুনি?’
বাঁদর আবারও প্রশ্ন করল, ‘বাঘ আবার কবে থেকে তোমার ভাই হলো?’
‘আরে বাঁদর, বিয়ের আগে আমিও বাঘ ছিলাম। বাঘের ক্ষেত্রেও তো একই ঘটনা ঘটবে। তাহলে সে তো আমার ভাই-ই হবে, নাকি?’—গাধার উত্তর।
সমকালিন কৌতুক
সুত্র : সালেকিন রাজিব
বোকা জনি
জনি পাহাড়ের সর্বোচ্চ চুড়ায় উঠে ইশ্বরকে ডাকাডাকি শুরু করলো।
ঈশ্বর ও ঈশ্বর!!! শুনছো!
ঈশ্বর : কি হয়েছে আমার প্রিয় জনি?
জনি : তোমার কাছে ১ কোটি বছর মানে কতক্ষন?
ঈশ্বর : আমার কাছে ১ কোটি বছর হলো ১ মিনিট।
জনি : ও, আচ্ছা তোমার কাছে ১০০০ কোটি টাকা মানে কত পয়সা?
ঈশ্বর : ১০০০ কোটি টাকা আমার কাছে তো ১ পয়সারও কম।
জনি : তাইলে তুমি আমাকে ১টা পয়সা দাও না। প্লিজ।
ঈশ্বর : মাত্র ১ পয়সা!! ঠিক আছে বাছা। জাস্ট ১ মিনিট ওয়েট করো।
-এই বলে ইশ্বর অদৃশ্য হলেন।
ভবিষ্যতবাণী
এক ব্যক্তি ভাগ্যের সন্ধানে জ্যাতিষীর কাছে হাত দেখাতে গিয়েছে।
সেই ব্যক্তির হাত দেখে জ্যোতিষী বলছে……………
জ্যোতিষী : আপনার জীবনে ১৩ নারীর আগমন ঘটবে।
ব্যক্তি: (মহাখুশিতে) তাই নাকি? কী কপাল নিয়া যে জন্মাইছিলাম!
জ্যোতিষী: বেশি খুশি হইয়েন না।
ব্যক্তি: কেন?
জ্যোতিষী: কারন ১৩ নারীর একজন আপনার বিবি আর বাকিগুলা আপনার কন্যা।
কথপোকথন (বিয়ের আগে ও পরে)
ছেলে : অবশেষে তুমি রাজি হলে। সত্যিই আমি আর সইতে পারছিলাম না।
মেয়ে : তুমি কি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে?
ছেলে : অবশ্যই না! এ নিয়ে কখনো ভেবো না তুমি।
মেয়ে : তুমি কি আমাকে ভালোবাস?
ছেলে : অবশ্যই….. সারা জীবন…..
মেয়ে : আমাকে কখনো ধোঁকা দেবে?
ছেলে : নাহ! এ ধরনের কথা তোমার মাথায় আসছে কিভাবে?
মেয়ে : তুমি কি আমার চুল নিয়ে খেলা করবে?
ছেলে : নিশ্চয়ই!! যতবার সুযোগ পাব…
মেয়ে : আমাকে কখনো আঘাত করবে?
ছেলে : তুমি কি পাগল! আমি মোটেই সে ধরণের মানুষ না।
মেয়ে : আমি কি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি?
ছেলে : হ্যাঁ…
মেয়ে : প্রিয়তম! (আর বিয়ের পরের সংলাপ? ওপরের লেখাটা শুধু নীচ থেক উপরের দিকে পড়ে যান)
আপনি বিশ্বাস করবেন না
সুত্র : সালেকিন রাজিব
আপনি বিশ্বাস করবেন না
পুলিশ : তুমি কোথায় থাকো?
বল্টু : আমার বাবা-মা এর সাথে
পুলিশ : তোমার বাবা-মা কোথায় থাকেন?
বল্টু : আমার সাথে
পুলিশ : তোমরা সবাই কোথায় থাকো?
বল্টু : একসাথে
পুলিশ : উফ্ফ তোমার বাসা কই?
বল্টু: আমার প্রতিবেশীর বাসার পাশে
পুলিশ : তোমার প্রতিবেশীর বাসা কোথায়?
বল্টু : আপনারে যদি বলি আপনি বিশ্বাস করবেন না
পুলিশ : আরে ভাই আগে বল কই?
বল্টু : আমার বাসার পাশে …
ওটা একটা হাঁস কি না
হাঁস শিকারে গেছেন তিন চিকিৎসক। তাদের মধ্যে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বললেন :
– হুম, দেখতে হাঁসের মতোই লাগছে, হাঁসের মতোই ডাকে, হাঁসের মতো ওড়ে। ওটা একটা হাঁসই হবে।
তিনি গুলি ছুড়লেন। ততক্ষণে পাখিটা চলে গেছে অনেক দূর।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ তাঁর বইটা বের করলেন। হাঁসের ছবি দেখলেন। হাঁসের বৈশিষ্ট্যগুলোতে একবার চোখ বুলালেন। বললেন :
-হুম্। ওটা একটা হাঁস।
গুলি ছুড়লেন। কিন্তু এবারও পাখি নাগালের বাইরে চলে গেছে।
শল্যচিকিৎসক গুলি ছুড়লেন। ধপ করে নীচে পড়ল পাখিটা। চিকিৎসক বললেন :
– কাছে গিয়ে দেখো তো, ওটা একটা হাঁস কি না!
পাঁচ টাকার হেয়ারিং এইড
জয়নাল সাহেব কানে কম শোনেন। হেয়ারিং এইড কিনতে তিনি গেলেন দোকানে।
জয়নাল : ভাই, হেয়ারিং এইডের দাম কত?
দোকানদার : পাঁচ টাকা দামের আছে, পাঁচ হাজার টাকা দামেরও আছে।
জয়নাল : আমাকে পাঁচ টাকারটাই দেখান।
দোকানদার জয়নালের কানে একটা প্লাস্টিকের খেলনা হেয়ারিং এইড গুঁজে দিলেন। জয়নাল আশ্চর্য হয়ে বললেন, এটার ভেতর তো কোনো যন্ত্রপাতিই নেই। এটা কাজ করে কীভাবে?
দোকানদার: সত্যি বলতে, এটা কোনো কাজ করে না। তবে আপনার কানে এই জিনিস দেখলে লোকজন এমনিতেই আপনার সঙ্গে প্রয়োজনের চেয়ে উঁচু গলায় কথা বলবে!
ছাগলের চিঠি
সুত্র : আমিনুল হক
১. ছাগলের চিঠি
বড় কর্তার সেদিন মেজাজ খুবই খারাপ। অফিসে ঢুকেই দেখলেন পিয়নটা হাতে কিছু কাগজ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বড় কর্তা: এই, কাজের কাজ তো কিছু করিস না। হাতে কী?
পিয়ন: স্যার চিঠি।
বড় কর্তা: কোন ছাগলের চিঠি?
পিয়ন: স্যার আপনার।
বড় কর্তা: কোন গাধা লিখেছে?
পিয়ন: স্যার আপনার বাবা!
২. তেলাপোকা খেতে কেমন
খাবার টেবিলে বাবা ছেলের কথপোকথন।
ছেলে: বাবা, তেলাপোকা খেতে কেমন?
বাবা: খাওয়ার সময় বাজে কথা বলতে হয় না। চুপচাপ খাওয়া শেষ করো। পরে শুনব।
খাওয়া শেষ হওয়ার পর-
বাবা: কী যেন বলছিলে?
ছেলে: বলছিলাম, ডালে একটা তেলাপোকা পড়েছিল। কিন্তু তুমি তো সবটুকু ডাল খেয়ে ফেলেছ!
৩. খালের ওপর ব্রিজ
মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছিলেন রাজনৈতিক নেতা।
‘আমি যদি নির্বাচিত হই, এই গ্রামে ব্রিজ বানিয়ে দেব।’
পেছন থেকে একজন বলে উঠল: ‘স্যার, এই গ্রামে তো কোনো খাল নেই। ব্রিজ করবেন কীভাবে?’
নেতা আমতা আমতা করে বললেন, ‘ইয়ে মানে…প্রথমে খাল খনন করব। এরপর খালের ওপর ব্রিজ বানাব।’
চাকরি হওয়া খুব সহজ
সুত্র : আজমল হক
চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে এক তরুণ। শুরু হলো প্রশ্নোত্তর পর্ব।
প্রশ্ন : কংক্রিটের মেঝেতে ডিম ফেলবেন, কিন্তু ফাটবে না—কীভাবে করবেন এটা?
উত্তর : কংক্রিটের মেঝে আসলে খুব শক্ত, ফাটার কোনো আশঙ্কাই নেই!
প্রশ্ন : একটা দেয়াল বানাতে আটজন মানুষের যদি ১০ ঘণ্টা লাগে, চারজন মানুষের কত সময় লাগবে?
উত্তর : কোনো সময়ই লাগবে না, কারণ দেয়ালটা ততক্ষণে তৈরি হয়ে যাবে!
প্রশ্ন : আপনার এক হাতে যদি তিনটি আপেল ও চারটি কমলা থাকে, আর আরেকটি হাতে থাকে চারটি আপেল ও তিনটি কমলা; তাহলে কী পেলেন আপনি?
উত্তর : বিশাল বড় হাত।
প্রশ্ন : এক হাতে একটা হাতিকে কীভাবে ওপরে তুলবেন?
উত্তর : এক হাতের আটবে এমন হাতিকে জীবনেও খুঁজে পাবেন না!
প্রশ্ন : একজন মানুষ কী করে আট দিন না ঘুমিয়ে থাকতে পারে?
উত্তর : কোনো সমস্যা নেই, সে রাতে ঘুমাবে!
প্রশ্ন : নীল সাগরে যদি একটা লাল পাথর ছুড়ে মারেন, কী হবে?
উত্তর : যা হওয়ার তা-ই, পাথরটি ভিজে যাবে অথবা ডুবে যাবে টুপ করে।
প্রশ্ন : কোন জিনিসটি দেখতে একটি অর্ধেক আপেলের মতো?
উত্তর : আপেলের বাকি অর্ধেকটি।
প্রশ্ন : ব্রেকফাস্টে কোন জিনিসটা কখনোই খেতে পারেন না আপনি?
উত্তর : ডিনার।
প্রশ্ন : বে অব বেঙ্গল কোন স্টেটে অবস্থিত?
উত্তর : লিকুইড।
পয়লা ধাক্কায় বেশ ভালোভাবেই উতরে গেল তরুণ। শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব। প্রশ্নকর্তা বললেন, ‘আপনাকে আমি ১০টি পানির মতো সহজ প্রশ্ন করব অথবা কেবল একটা প্রশ্ন করব লোহার মতো কঠিন। উত্তর দেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন, কোন অপশন বেছে নেবেন আপনি।’
তরুণ কিছুক্ষণ ভাবনার চৌবাচ্চায় সাঁতার কাটল। তারপর বলল, ‘কঠিন প্রশ্নের উত্তরটাই দিতে চাই।’ প্রশ্নকর্তা হেসে বললেন, ‘ভালো, শুভকামনা আপনার জন্য। আপনি আপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার বলুন, কোনটা প্রথমে আসে—দিন না রাত?’
তরুণের বুকে ঢাকের বাড়ি। কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তার। এই প্রশ্নের উত্তরেই ঝুলে আছে তার চাকরিটা। এবার ভাবনার সাগরে ডুব দিল সে। উত্তরে বলল, ‘দিন প্রথমে আসে, স্যার!’
‘কীভাবে?’ প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন।
‘দুঃখিত, স্যার, আপনি ওয়াদা করেছিলেন, দ্বিতীয় কোনো কঠিন প্রশ্ন করবেন না আমাকে!’
চাকরি পাকা হয়ে গেল তরুণের!
লাইট জ্বলে
সুত্র : সালেকিন রাজিব
অপমান
মা : কি রে, দাঁড়িয়ে ভাত খাচ্ছিস কেনো?
ছেলে : এখন থেকে এভাবেই খাবো!
মা : কেন?
ছেলে : আর কত অপমান সহ্য করবো? বাবা রোজই বলে, এতো বড় ছেলে, এখনো বসে বসে খাস!
লাইট জ্বলে
ছাত্রী : স্যার, দরজা জানালা বন্ধ করে দিন!
স্যার : কেন?
ছাত্রী : আপনাকে একটা চমৎকার জিনিস দেখাব!
স্যার : সত্যি? (অবাক হয়ে)
ছাত্রী : হ্যাঁ, আগে দরজা জানালা সব কিছু বন্ধ করে দিন, যাতে আলো না আসে!! স্যার : তারপর? আর কিছু?
ছাত্রী : আমার কাছে আসেন।
স্যার : ওহ! তারপর? আর কি করবো বলো?
ছাত্রী : স্যার, এবার দেখেন। আমার নতুন ঘড়িতে লাইট জ্বলে।
গেট পাস
কলেজের প্রথম দিন ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলছেন ডিন কথা বলছেন।
ডিন : ছেলেরা মেয়েদের হোস্টেলে এবং মেয়েরা ছেলেদের হোস্টেলে ঢুকতে পারবে না। যদি প্রথমবারের মতো কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হবে। যদি দ্বিতীয়বারের মতো কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করে, তাহলে তাকে ৬০০ টাকা জরিমানা করা হবে। আর কেউ তৃতীয়বারের মতো এই নিয়ম ভঙ্গ করলে তাকে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হবে।
এমন সময় ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা এক ছাত্র জিজ্ঞেস করল, ‘পুরো বছরের জন্য গেট পাস নিতে কত লাগবে, স্যার’?
আমি বিবাহিত
সুত্র : মফিজ সরদার
রাতের মাতলামি শেষ করে পরদিন ঘুম থেকে উঠেছে বাবু। মাথাব্যাথা করছে তার। গতকাল রাতে কি হয়েছিল, কি করেছে কিছুই মনে পড়ছে না তার। বিছানা থেকে মাথা তুলেই দেখে পাশে দুইটা এসপিরিন আর এক গ্লাস পানি। বড়ি দুইটা খেয়ে উঠে পড়ে বাবু। তার জামা কাপড় ইস্ত্রী করে রাখা। তার পাশে একটা লাল গোলাপ। ঘরের সব কিছু বেশ পরিষ্কার-সাধারনত এতো পরিষ্কার থাকে না। ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় সে আবিষ্কার করে তার চোখের নিচে বড় কালো দাগ। গতকাল কি কেউ ঘুষি মেরেছে? তার কিছুই মনে পড়ে না। অফিস পার্টিতে এত নেশা করা উচিত হয় নাই। দাঁত মাজতে বাথরুমে ঢুকে দেখে আয়নায় লিপিস্টিক দিয়ে ঠোঁট আঁকা। নিচে নোট প্রিয়, তুমি ঘুমাচ্ছো দেখে আর জাগালাম না। নাস্তা রেডি আছে। আমি গ্রোসারি সেরেই আসছি। আজকে রাতে তোমার জন্য স্পেশাল রান্না হবে। ইতি তোমার লহ্মি বউ।
বাবু ডাইনিং টেবিলে গেল। দেখে তার ছেলে নাস্তা করছে।
বাবু : বাপধন, গত রাইতে কি হইছিলো? আজকে সকালে দেখি সব সাজানো গোছানো, ঘর তো এতো গোছানো থাকে না।
ছেলে : তোমার কিছু মনে নাই?
বাবু : না!
ছেলে : তুমি রাত তিনটার সময় আসছো। ঘরে ঢোকার সময় দরজায় বাড়ি খেয়ে তোমার চোখের নিচে দাগ পড়ে।
বাবু : আচ্ছা। তারপর?
ছেলে : আছাড় খেয়ে তুমি আমাদের কফি টেবিলটা মাঝ বরাবর ভেঙ্গে ফেলছো। এরপর ড্রইং রুমের কার্পেট বমি কলে ভাসিয়ে দিয়েছ।
বাবু : এরপরও ঘরের সব ঠিক রইলো কিভাবে?
ছেলে : যখন তোমাকে মা বিছানায় নেয়ার জন্য জড়িয়ে ধরছে, তখন তুমি মাকে বলেছ, সুন্দরি ছেড়ে দাও আমাকে! আমি বিবাহিত।
থার্ড জেনারেশনের কৌতুক
সুত্র : আসলাম রাসেল
ছেলে ও বাবার মধ্যে কথা হচ্ছে –
ছেলে : বাবা টাকা দাও। একটা মোবাইল কিনব।
বাবা : মোবাইল কিনবি? তোরে না দুইমাস আগেই ১০হাজার টাকা দিলাম নতুন মোবাইলের লাইগা!
ছেলে : হুম দিছ, কিন্তু এবার একটা থ্রি-জি মোবাইল কিনব।
বাবা : থ্রি-জি মোবাইল! সেইডা আবার কী?
ছেলে : ওহ হ, থ্রি-জি কি জানো না? থ্রি-জি হলো থার্ড জেনারেশন মোবাইল ফোন।
বাবা : কি কইলি? তোর এত অধঃপতন! আমার কি টাকার অভাব? তোরে আমি কোনদিন সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস কিইনা দিইনি, আর আমার পোলা হইয়া সেই তুই কিনবি থার্ড হ্যান্ড মোবাইল!
২.
একটা ছাগল হাঁটছিল, নিউটন এটাকে ধরে থামালেন। আর তখন ১ম সুত্র আবিস্কার হল ‘একটি বস্তুকে যতক্ষণ পর্যন্ত থামান না হয় তা চলতে থাকে’।
এরপর নিউটন ছাগলটিকে (F) বলে একটা লাথি দিলেন ছাগলটা বলে উঠলো ম্যা (ma)। আবিস্কার হল দ্বিতীয় সুত্র F = ma.
এরপরই ছাগলটি নিউটনকে কষে একটা লাথি দিল। আর নিউটন আবিস্কার করলেন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুত্র।
‘সকল ক্রিয়ার সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে।’
৩.
প্রথমবারের মত সমুদ্র দর্শনে বের হয়েছেন পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদ।
পদার্থবিদ সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে মোহিত হয়ে ঢেউয়ের ফ্লুইড ডাইনামিক্সের উপর গবেষণা করার কথা চিন্তা করে সাগরে চলে গেলেন। যথারীতি তিনি ডুবে গিয়ে আর ফিরলেন না।
জীববিজ্ঞানী সমুদ্রের ফ্লোরা-ফনার উপর গবেষণা করার জন্য সমুদ্রে গেলেন, কিন্তু তিনিও ঐ পদার্থবিদের মত সাগরে গিয়ে আর ফিরলেন না।
বহুক্ষণ ধরে বাকী দুইজনের জন্য অপেক্ষা করে রসায়নবিদ শেষে পর্যবেক্ষণ লিখলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞানী এবং জীববিজ্ঞানী উভয়ই সমুদ্রের পানিতে দ্রবনীয়।’
পেটে খিল
সুত্র : সাইফুল মিয়া
ঘটক : আপনার ছেলের জন্য খুব মিষ্টি একটা মেয়ে পেয়েছি।
অভিভাবক : তাহলে তো ওই মেয়েতে আমাদের হবে না।
ঘটক : কেন হবে না ?
অভিভাবক : আমাদের ছেলের ডায়াবেটিস আছে তো, তাই……..
২.
১ম বন্ধু : তোকে গাড়ী থেকে নামিয়ে সর্বস্ব লুট করে ডাতরা পালিয়ে গেল অথচ তুই কিনা চেঁচিয়ে লোকও জড়ো করতে পারিসনি?
২য় বন্ধু : কোন উপায় ছিলনা বন্ধু। ওরা আমার টাকা পয়সাসহ গায়ের জামা কাপড় সব খুলে নিয়েছিল আর পাশেই ছিল লেডিস হোস্টল। বুঝতেই পারছিস।
৩.
ছোট মেয়ে : মা জানো, বড় আপা না অন্ধকারেও চোখে দেখতে পারে।
মা : তুই কি করে বুঝলি?
ছোট মেয়ে : কাল রাতে যখন বিদ্যুৎ চলে গেলো, তখনই শিবলী ভাইয়া এলেন, একটু পরেই অন্ধকারে আপা বললেন, এই তুমি সেভ করনি কেন !
৪.
জনৈক ভদ্রলোক : এই ছেলেরা তোমরা এই কুকুর ছানাটিকে নিয়ে এত ঝগড়া করছ কেন?
বালকদ্বয় : আঙ্কেল আমরা ঠিক করেছি আমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা বলতে পারবে সেই এ কুকুর ছানাটা পাবে।
জনৈক ভদ্রলোক : বলিস কি রে খোকারা !! তোদের মত বয়সে তো আমি মিথ্যা কি তাই জানতাম না?
বালকদ্বয় : তাহলে কুকুরছানাটি আপনিই পেলেন আঙ্কেল।
৫.
খদ্দের : এই সব রান্না কি খাওয়া যায়? ওয়ক থু: !! যাও তোমার ম্যানেজারকে ডেকে নিয়ে আস।
ওয়েটার : ইয়ে স্যার মানে…. উনি তো পাশের হোটেলে খেতে গেছেন।
৬.
তিন বন্ধু মজা করে নিজেদের নাম বদলিয়ে রেখেছে যথাক্রমে Sombody, Nobody ও Mad। এদের মধ্যে ছিল অধিক ঘনিষ্টতা। একদিন Sombody ক্ষুদ্ধ হয়ে Nobody কে খুন করলো। Mad তখন থানায় গেলো।
Mad : স্যার Sombody Kills Nobody.
দারোগা :- হোয়াইট?
Mad : Sombody Kills Nobody.
দারোগা : হু আর ইউ?
Mad : আই এ্যাম Mad স্যার।
দারোগা : গেট আউট।
একটু হাসুন
সুত্র : সালেকিন রাজিব
ঘুমের ঘোরে গৃহকর্তা বললেন : কে ওখানে?
চোর : আমি হ্যাবলা।
গৃহকর্তা : ওখানে কি করছিস?
চোর : মালপত্র গোছাচ্ছি।
গৃহকর্তা : মালপত্র গোছাবি গোছা। ব্যাটা, হারমোনিয়াম বাজাচ্ছিস কেন?
চোর : আমার ওস্তাদ বলে দিয়েছে, যা নেব তার সব যেন বাজিয়ে (পরখ করে) নিয়ে আসি যেন। তাই হারমোনিয়ামটা বাজিয়ে দেখছি, ঠিক আছে কিনা।
২.
মিনিট দশেক তাড়া করে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকরী এক ট্রাক ড্রাইভার কে থামাল ট্রাফিক সার্জেন্ট। এরপর বললেন, বার বার গাড়ি থামাতে বলা সত্ত্বেও কেন তুমি থামালে না?
এক মুহূর্ত ভেবে নিয়ে ড্রাইভার বলল, আসলে হয়েছে কি স্যার, গত সপ্তাহে আমার স্ত্রী এক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তো আপনাকে আমার পেছনে ছুটতে দেখে মনে হলো, আপনি বোধ হয় আমার স্ত্রীকে ফেরত দিতেই পিছু নিয়েছেন!
৩.
এক বাড়িওয়ালা মাসের শেষদিকে নোটিশ টাঙ্গিয়ে দিলেন যাদের ছোট ছেলেমেয়ে নেই, কেবল তাদের কেই বাড়িভাড়া দেওয়া হবে।
নোটিশ টাঙ্গানোর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই দরজায় কড়ানাড়ার শব্দ হলো। বাড়িওয়ালা দরজা খুলেই দেখেন সামনে বছর দশেকের একটি ছেলে দাঁড়িয়ে।
বাড়িওয়ালা : কড়ানাড়লে কেন বাবু? কি চাও?
শিশুটি : আপনার বাড়িভাড়া নিতে চাই। আমার কোনো বাচ্চাকাচ্চা নেই। সম্পূর্ণ ঝামেলা মুক্ত। শুধু মা-বাবা আছেন।
চালাক ডাক্তর
সুত্র : আমিনুল হক
১.
রোগী: ডাক্তার সাহেব, আমি বাঁচবো তো?
ডাক্তার: অবশ্যই, যদি না মরেন।
২.
ডা. হরিপদ একজন দাঁতের চিকিৎসক। এক সন্ধ্যায় দেখা গেল চেম্বারের বাইরে দাঁড়িয়ে আনন্দে লাফাচ্ছেন তিনি।
এমন সময় ছুটে এলো হরিপদের ব্যক্তিগত সহকারী-
‘স্যার, কোনো সমস্যা?’
হরিপদ: সমস্যা হলে কি আমি আনন্দে নাচি বেকুব?
সহকারী: সেটাই তো বলছি স্যার, ভেতরে রোগী বসিয়ে আপনি বাইরে নাচানাচি করছেন কেন?
হরিপদ: ভেতরে যে রোগী বসে আছে, সে কে জানো?
সহকারী: না তো! কে স্যার?
হরিপদ: সে একজন পুলিশ সার্জেন্ট। গতকাল দ্রুত গাড়ি চালানোর অপরাধে, আমাকে ৬০০ টাকা জরিমানা করেছিল। আজকে তাকে পেয়েছি।
৩.
রোগী: ডাক্তার সাহেব, দীর্ঘ জীবন পাওয়া যাবে এমন কোনো ওষুধ আছে?
ডাক্তার: আছে, বিয়ে করে ফেলুন।
রোগী: বিয়ে করলে দীর্ঘজীবী হবো?
ডাক্তার: না, তবে আপনার দীর্ঘজীবী হওয়ার ইচ্ছা মরে যাবে!