পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং হং ওন। সম্প্রতি ভয়াবহ ফেরি দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে রোববার সকালে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
সম্প্রতি ফেরি দুর্ঘটনা এবং ঢিমেতালে উদ্ধারকাজ চলার কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে চুং সরকার। এরই জের ধরে ওই ঘটনার দায় নিয়ে রোববার সকালে রাজধানী সিউলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী চুং হং উন।
প্রধানমন্ত্রী উন বলেছেন, ‘আমি এর আগেই পদত্যাগ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য আমি সময় নিয়েছি। আমি মনে করি, ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আগে আমার উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়িত্ব নেয়া প্রয়োজন ছিল।’
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন,‘আমি এখন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেনোনা ক্ষমতায় থেকে আমি আর প্রশাসনের বোঝা বাড়াতে চাই না।’
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল ৪৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ফেরিটি সাগরে ডুবে যায়। যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন স্কুল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। এ পর্যন্ত ১৮৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ তিন শতাধিক।
ফেরি দুর্ঘটনার পর দ্রুত কমে যায় চুংয়ের জনপ্রিয়তা। দুর্ঘটনার একদির পর নিহতদের শোকর্ত পরিবারগুলোকে দেখতে গেলে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। অনেকে তাকে টিটকিরি দেয়। কেউ কেউ তাকে উদ্দেশ্য করে পানির বোতল ছুঁড়ে মারে।