সাত দিন আগেই মৃত্যু হয় ভালোবাসার মানুষটির। পরিবারের কাছে এই মৃত ব্যক্তিটি খুবেই আদরের তা বুঝতে পেরেই ব্ল্যাকমেইলের আশ্রয় নেন চিকিৎসকরা। মৃতদেহ আইসিইউ থেকে বের করার তাগিদ অনুভব করেননি তারা। তাগিদ অবশ্য ছিল, চিকিৎসার বা মানবিকতার নয়। ব্যবসার তাগিদ! তাই রোগীর পরিবারের লোকদের মনে আশার আলো জাগিয়ে রাখেন 'ঈশ্বর'সম ওই চিকিৎসকরা।
কিন্তু আলোর নীচেই যে অন্ধকার। যাকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবার সর্বস্বান্ত হতে প্রস্তুত, তারা জানতেও পারলেন না, সাত দিন আগেই চুপিসারে পৃথিবী ছেড়েছেন তাদের প্রাণের মানুষটি। চিকিৎসকরা জানতে পেরেও ‘ব্যবসা’র খাতিরে পরিবারকে জানায়নি। একটু বিল বাড়ানোর জন্যই ‘ঈশ্বর’দের মানবিকতার জলাঞ্জলি!
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এই ঘটনাটি ঘটে ভারতের ভোপালের মোতিয়া পুকুরের এলবিএস হার্ট কেয়ার হাসপাতালে। বুকে ব্যাথা নিয়ে সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন ৫৫ বছরের সীমা সাহা। ৮ ফেব্রুয়ারি সীমা সাহার স্বামী মদন নন্দনের চিকিৎসক বন্ধু দুর্লভ সিং তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে সীমার নাড়ী দেখে স্তম্ভিত হন তিনি। কারণ কয়েকদিন আগেই যে সীমার মৃত্যু হয়েছে।
এরপরই সীমাকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৬ লাখ টাকার বিল ধরিয়ে দেয় নিহতের পরিবারকে। পরিবারের অভিযোগ, মৃত্যুর পরও তাদের গৃহবধূকে আইসিইউতে সাতদিন রাখা হয়। আর সে বাবদ তাদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকার বিল মেটাতে বলা হয়। বিল বাড়ানোর জন্য ইচ্ছা করে সীমাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছিল।
পরে আদালতের নির্দেশের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে পুলিশ