স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ দমন করেছেন। ২০১৯ সালেই পরবর্তি জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে।
শনিবার খুলনার স্থানীয় ডাকবাংলো চত্ত্বরে ১৪ দলীয় জোটের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বাধাগ্রস্ত করা ও বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, খালেদা জিয়া একটি বিদেশি গোষ্ঠীর ইচ্ছা পূরণ করতে জামায়াতকে নিয়ে হুমকি দিয়েছিল, ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না। কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন প্রমাণ করেছে বিএনপি-জামায়াতের কথায় দেশ চলবে না।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে দেয়া বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বক্তব্যের সমালোচনা করে ১৪ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খুনি এরশাদ শিকদারের বিচার যেমন খুলনার মাটিতে হয়েছে, একইভাবে বিএনপি-জামায়াতের ইতিহাস বিকৃতিকারী ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের মাটিতেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদেরকে পুনর্বাসন করেছিলেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন। আর তার ছেলে এখন দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিএনপি-জামায়াত দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলেই নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপির সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মোজাম্মেল হক এমপি, সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, এস এম কামাল হোসেন, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরিন আক্তার এমপি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক, গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুর রহমান বাবু, জাতীয় পার্টি(জেপি)’র মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, জাসদ নেতা রেজাউর রশীদ খান, আওয়ামী লীগের খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি, মহানগর সাধারণ মিজানুর রহমান এমপিসহ স্থানীয় নেতারা।