সারাদিনের পরিশ্রম, কাজের চাপ, দুশ্চিন্তায় অনেকেরই রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। মাঝে মাঝে তাই অনেকেরই মনে হয়, মাথাটাকে যদি কোনোভাবে বিশ্রাম দেয়া যেত এসব হ্যাপা থেকে।একটু শান্তির ঘুম তাই সবারই আরাধ্য। আর তাই মগজটাকে বিশ্রাম দিতে আবিষ্কার করেছেন অনন্য এক পদ্ধতি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন থেকে চাইলে যে কোনো সময় চাইলে মস্তিস্কটাকে একটু বিশ্রাম দিতে পারবেন যে কেউ। সেই সঙ্গে সেরে নিতে পারবেন শান্তির ঘুম। নতুন আবিষ্কৃত এই পদ্ধতিতে চাইলে মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকলাপ বন্ধ করা যাবে।
বৈজ্ঞানিক ভাষায় নতুন আবিষ্কৃত পদ্ধতিটির নাম অপ্টজেনেটিক্স। ২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিজ্ঞানী কার্ল দেইসরথ আলোর ব্যবহার করে কিভাবে মস্তিষ্ক কোষকে সুইচ অন ও অফ করা যায় তা আবিষ্কার করেন। তিনি এর নামকরন করেন অপ্টজেনেটিক্স।
বিশ্বজুড়ে গবেষণায় দেখা গেছে , অপ্টজেনেটিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্রেন, হার্ট ও স্টেম সেল বৈদ্যুতিক সংকেত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। হালকা সংবেদনশীল প্রোটিন কোষকে জাগানোর ক্ষেত্রে কার্যকর হলেও কোষকে ঘুম পাড়াতে ততটাও দক্ষ নয়। কিন্তু এবার দেইসরথের টিম এখন আগের চেয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে আলোর মাধ্যমে মগজের কোষকে বিশ্রাম দেয়ার কাজে সফলতা লাভ করেছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের কর্মকর্তা টমাস ইন্সেল জানিয়েছেন, নতুন এই উন্নত পদ্ধতি মস্তিষ্কের চিন্তা এবং আবেগ ও আচরনকে জানার জন্য গবেষকদের কাজে লাগবে। এই পদ্ধতিতে এটি মস্তিষ্কের সমস্যাযুক্ত অংশে চিকিৎসকদের ও বিজ্ঞানীদের গবেষণার কাজে সাহায্য করবে।