অতীতদিনের তাপমাত্রা মাপার নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ও গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন, এক সময় বর্তমানের এন্টার্কটিকা মহাদেশ বর্তমান ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলভাগের মতোই উষ্ণ ছিল।
তারা তাদের গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু স্থির করেন চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগের এন্টার্কটিকা মহাদেশের ওপর। তারা প্রমাণ পান তখন এ মহাদেশটিতে গ্রিনহাউস ক্লাইমেট বজায় ছিল। বর্তমানের এন্টার্কটিকা মহাদেশে বছরজুড়ে ঠাণ্ডা আবহাওয়া বজায় থাকে। এ মহাদেশের অভ্যন্তরভাগ পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম জায়গাগুলোর একটি (গড়পড়তা জিরো ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে)।
ইয়েল গবেষকদের গবেষণার ফল ‘প্রসিডিংস অব দি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস’ নামের মার্কিন বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তারা বলেন, তাদের এ গবেষণার ফল পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার এবং মেরু অঞ্চলের বরফ গলা ও সমুদ্রপৃষ্ঠতলের উষ্ণতাবৃদ্ধির ঝুঁকি পরিমাপে সহায়তা দেবে।
তারা বলেন, নতুন পদ্ধতিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা নির্ণয়ের এই ফর্মুলা ব্যবহার করে আগামীদিনের বৈশ্বিক জলবায়ু সম্পর্কে অধিকতর নির্ভুল ধারণা পাওয়া সম্ভব। ইয়েল ইউনিভার্সিটির জিওলজি অ্যান্ড জিওফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক হ্যাজিট অ্যাফেক বলেন, ‘অতীত দিনের তাপমাত্রা নির্ণয় করার মাধ্যমে আমরা গ্রিনহাউস গ্যাসের ক্লাইমেট সিস্টেম সম্পর্কে অধিকতর সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পেরেছি। বিশেষ করে মেরু অঞ্চলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ অনুধাবন করতে পারছি।’
প্রাচীন জীবাশ্মের বিরল আইসোটোপের ঘনত্ব পরিমাপ করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে এন্টার্কটিকার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৬৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত উঠেছিল। আর বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলে গড়পড়তা তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট)।