সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন অপহরণের ঘটনার পর সারাদেশে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।
এছাড়া ৭ জন অপহরণের ঘটনায় ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) খন্দকার গোলাম ফারুককে প্রধান করে একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাজ্জাদুর রহমান ও ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজিম।
নারায়ণগঞ্জে একের পর এক খুন ও অপহরণের ঘটনা বেড়ে চলায় করনীয় সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি মাহফুজুল হক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো। জনগণের নিরাপত্তায় যতগুলো দিক রয়েছে সেগুলো বিবেচনা করা হবে।’
পুলিশ সুপারকে কেন প্রত্যাহার করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনে সরকার যাচাই বাছাই করেই নিয়োগ দেয়। আবার প্রয়োজন পড়লে সরকারই প্রত্যাহার করে।’ তবে প্রত্যাহারের কাগজ দুপুর পর্যন্ত তার হাতে এসে পৌঁছেনি বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘মামলা দেরিতে হওয়ায় আসামিরা পালিয়ে গেলেও তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে মামলা নিতে পুলিশের কোনো গড়িমসি ছিলন।’
এদিকে বুধবার দুপুরের পর থেকে অপহৃতদের মধ্য থেকে একে একে ৬টি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী নদীতে লাশ ভাসতে দেখলে পুলিশে খবর দিলে বন্দর থানা পুলিশ এসে তাদের লাশ উদ্ধার করে।